লুণ্ঠিত সাদা পাথর উদ্ধারে যৌথবাহিনীর রাতভর অভিযান, পরে জব্দকৃত পাথর প্রতিস্থাপন

চলছে জব্দকৃত সাদা পাথর প্রতিস্থাপনের কাজ
চলছে জব্দকৃত সাদা পাথর প্রতিস্থাপনের কাজ | ছবি: এখন টিভি
0

অবশেষে সিলেটের ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর পর্যটন এলাকার লুণ্ঠিত পাথর উদ্ধারে বৃহৎ অভিযানে নামে যৌথবাহিনী। জব্দকৃত পাথর পুনরায় নিজ নিজ স্থানে প্রতিস্থাপনের কাজ শুরু হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন স্থানীয় পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে, রাতভর সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব ও পুলিশ—ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে মহাসড়কে বিশেষ তল্লাশী চালিয়ে বহু পাথরবাহী ট্রাক আটক করা হয়েছে। প্রশাসনের দাবি, এ পর্যটন কেন্দ্র রক্ষায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে তারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

বুধবার (১৩ আগস্ট) দিবাগত মধ্যরাতে সিলেটের সাদাপাথর পর্যটন এলাকার লুণ্ঠিত পাথর উদ্ধারে যৌথবাহিনীর বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। এ অভিযানের শুরুতেই বিজিবি, পুলিশ, র‍্যাব ও উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের তৎপরতায় ভোলাগঞ্জের কালাইরাগ এলাকায় জব্দ করা হয় ১২ হাজার ঘনফুট পাথর।

জব্দকৃত পাথর আবার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিস্থাপনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় সাদাপাথরে। বারকি নৌকা করে পাথর শ্রমিকরা রাতভর চালায় এমন কার্যক্রম।

প্রশাসনের এমন উদ্যোগে সামিল হন স্থানীয়রাও। তারা বলছেন, অতীতে যা ঘটেছে সেটির যেন আর পুনরাবৃত্তি না হয়, সেজন্য প্রশাসনের সঙ্গে থেকে সাদাপাথর রক্ষায় কাজ করবেন তারাও।

এদিকে মহাসড়কেও যাতে ট্রাকে করে লুণ্ঠন হওয়া পাথর না নিয়ে যেতে পারে, সেজন্য সিলেট ভোলাগঞ্জ সড়কে রাত ৮টা থেকেই অভিযানে নামে সেনাবাহিনী।

আরও পড়ুন:

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে চলা বিশেষ তল্লাশিতে প্রতিটি ট্রাকের পাথর নামিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলে রাতভর। সেনাবাহিনী বলছে, লুট হওয়া পাথর উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত তাদের এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।

অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিলেট সেনা নিবাসের ৩৪ বীর মেজর মো. রাজিব হোসাইন  বলছেন, এরই মধ্যে চুরি হওয়া পাথর অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার প্রমাণও মিলেছে। যেসব পরিবহনে সাদা পাথর পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো জব্দ করে অভিযান শেষে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এছাড়া শুধু পাথর উদ্ধার নয় বরং এ লুটের সঙ্গে যারাই জড়িত, তদন্ত সাপেক্ষে তাদেরকেও দ্রুতই আইনের আওতায় নিয়ে আসার কথাও জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

এর আগে, সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্রে ব্যাপক লুটপাটের পর জেলা প্রশাসন গত ১৩ আগস্ট একটি ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলে জানায়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদ্মাসন সিংহকে প্রধান করে গঠিত কমিটি পাথর লুটের ঘটনা অনুসন্ধান করে। ১৭ আগস্টের মধ্যে এ কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এসএইচ