গ্রেপ্তাকৃতরা হলেন- দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানার তিনমারী চন্দনপুর গ্রামের আব্দুল কাদেরের মেয়ে আশামনি (২৬), গাজীপুরের পূর্ব চান্দনা এলাকার শাহজাহানের ছেলে শেখ ফরিদ (২৬), ঢাকার মিরপুরের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম (৪৫), গাজীপুরের কাপাসিয়ার ফুলবাড়িয়া এলাকার শহিদুল্লার ছেলে জাবেদ হোসেন সবুজ (৫০), ফরিদপুরের নগরকান্দা থানার সজনকান্দা গ্রামের ফজলু মিয়ার ছেলে লাভলু মিয়া (৪৫), ভোলা জেলার দৌলতখান থানার জয়নগর সরদার বাড়ি গ্রামের আব্দুল বাকির ছেলে মো. বশির (৩৫)।
এ ঘটনায় পলাতক রয়েছেন টাঙ্গাইলের সাবিনা (৪৫)। তারা সবাই টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করেন।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার রাজনগর গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে ব্যবসায়ী সুজন বেপারী (৩৮) ঢাকার লালবাগ থানার নবাবগঞ্জে বসবাস করেন। মাসখানেক আগে আসামি সাবিনার সাথে সুজনের ফেসবুকে পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সূত্র ধরে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে সুজন টঙ্গীর স্টেশন রোডে প্রেমিকা সাবিনার সাথে দেখা করতে আসলে হানিট্র্যাপ চক্রের সদস্যরা তাকে অপহরণ করে গোপালপুর এলাকায় আসামি আশামনির ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়।
সেখানে তাকে মারধর করে সাথে থাকা তিন হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর চক্রের সদস্যরা সুজনকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে এবং ভয় দেখিয়ে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। এসময় ওই বাসা থেকে হানিট্র্যাপ চক্রের ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘বুধবার বিকেলে হানিট্র্যাপ চক্রের ছয় সদস্যকে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অপর একজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’