আজ (শনিবার, ১৬ আগস্ট) ভোরে সদর উপজেলার বেড়া চিকন্দি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। সবুজ দেওয়ানের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ।
ঘটনার পর জেলা পুলিশ হাসপাতাল এলাকা থেকে বেসরকারি সব অ্যাম্বুলেন্স সরিয়ে নিতে পদক্ষেপ নিয়েছে। এখন থেকে সর্বোচ্চ ২টি অ্যাম্বুলেন্স শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে রোগী পরিবহন করতে পারবে।
উল্লেখ্য, শরীয়তপুরে রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা যাওয়ার পথে আটকে রাখে শরীয়তপুরের অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট। এ কারণে চিকিৎসা না পেয়ে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা এক নবজাতক মারা যায়।
আরও পড়ুন:
গত বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে একটি ক্লিনিকের সামনে এ ঘটনা ঘটে। দুপুরে শহরের একটি ক্লিনিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশুটির জন্ম হয়। জন্মের পরই শ্বাসকষ্টসহ শারীরিক জটিলতা দেখা দিলে চিকিৎসক তাকে ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দেন। মারা যাওয়া নবজাতক ডামুড্যা উপজেলার কনেশ্বর এলাকার নূর হোসেন সরদার ও রুমা বেগম দম্পতির সন্তান।
নূর হোসেন বলেন, ‘অসুস্থ ছেলেকে ঢাকা নেওয়ার জন্য অল্প টাকায় অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করেছিলাম। আমি তো জানি না জেলার বাইরের অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করলে ঝামেলা হবে। গরিব মানুষ কম টাকা পেয়েছি তাই ভাড়া করি। শরীয়তপুরের অ্যাম্বুলেন্সের লোকদের কারণেই ছেলেকেই হারাতে হলো। প্রথমে মামলা করতে চাইনি। পরবর্তী সময় অনেকে সাহস দিয়েছে, এরপর মামলা করেছি। একজন গ্রেপ্তার হয়েছে বাকিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি করছি।’
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা ঘৃণিত। যাদের মনুষ্যত্ব নেই তারাই ঘটাতে পারে। বাঁধা সৃষ্টি করে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়। প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’