কাজ বন্ধ রেখে পালিয়েছে ঠিকাদার, শেরপুরে বন্ধ সড়ক উন্নয়নের কাজ

শেরপুরের সড়ক দিয়ে সিএনজি চলছে
শেরপুরের সড়ক দিয়ে সিএনজি চলছে | ছবি: এখন টিভি
0

শেরপুরে প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়নের কাজ বন্ধ রেখে পালিয়েছে ঠিকাদার। ফলে, দীর্ঘ দেড় বছর ধরে সড়কটির চরম দুরাবস্থা। স্থানীয়দের চলাচলে বাড়ছে দুর্ঘটনা। এদিকে, সড়কটি এভাবে ফেলে রাখা হলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পক্ষ থেকে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে নেয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা।

শেরপুরের শ্রীবরদি উপজেলার ঝগড়ার চর বাজার থেকে হেরুয়া বাজার পর্যন্ত সড়ক প্রশস্ত করার পরিকল্পনা নেয় স্থানীয় সরকার বিভাগ। কিন্তু ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের পর কাজ রেখে পালিয়ে যায় ঠিকাদার। আর তখন থেকেই সড়কটি হয়ে পড়ে ব্যবহারের অনুপযোগী।

সংশ্লিষ্ট দপ্তর জানায়, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বরেন্দ্র কন্সট্রাকশন ৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকায় ২০২৩ সালে সড়কটি উন্নয়নের কাজ শুরু করেছিল। কিন্তু কয়েকমাস পর সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে না জানিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয় সড়কের কাজ। এছাড়া, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও মেলেনি কোনো সাড়া।

এদিকে, কাজ বন্ধের পর থেকে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে নেয়া হয়নি কোনো কার্যকর পদক্ষেপ। স্থানীয়রা জানান, সড়কটি দিয়ে চলাচলে প্রতিদিনই ঘটছে নানা ধরনের দুর্ঘটনা। দিনের বেলায় কিছুটা চলাচল করা গেলেও, রাতের বেলা সড়কটি হয়ে উঠছে এক বিপজ্জনক পথ।

আরও পড়ুন:

চালকেরা জানান, প্রায় দেড় বছর থেকে এ সড়ক এমনভাবে পড়ে আছে। সংস্কারে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয় না। ভাঙা সড়ক দিয়ে গাড়ি চালানোর ফলে তাদের গাড়ি দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। বড় গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হওয়া যায় না বলে অভিযোগ করেন তারা।

স্থানীয়রা জানান, সড়কে প্রতিদিনই দুর্ঘটনা গটে। সড়কটি দ্রুত নির্মাণ করার দাবি জানান তারা। এ বিষয়ে, এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বর্তমানে, বিভাগীয় ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। নতুন করে টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ শুরু করা হবে।

শেরপুর বিভাগ নির্বাহী প্রকৌশলী স্থানীয় সরকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘শ্রীবরদি উপজেলার ঝগড়ার চর থেকে শেরপুরের যে সড়কটি আছে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে। ঠিকাদার দীর্ঘদিন যাবত পলাতক আছেন। আমরা হেড কোয়াটারে সুপারিশ করেছি। অনুমোদন আসলে বাতিল করে আবার রিমেনিং ওয়ার্কের রিটার্ন ডাটা করব।’

ভোগান্তি কমাতে নতুন ঠিকাদার দিয়ে সড়কটির কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি স্থানীয়দের।

এফএস