মেরিন ও শিপ বিল্ডিং ডিপ্লোমাধারীদের সমুদ্রগামী জাহাজে যোগদানের জন্য অনূর্ধ্ব ছয় মাসের প্রি-সি ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে ক্যাডেট সিডিসি প্রদান, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ইঞ্জিন ও মেশিন সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে মেরিন ও শিপ বিল্ডিং ডিপ্লোমাধারীদের নিয়োগ বিধান চালু এবং প্রশিক্ষণের মান উন্নত করণসহ তিন দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
দাবি আদায় না হলে পর্যায়ক্রমে আন্দোলনের কর্মসূচি আরো বাড়ানো হবে বলে জানায় ছাত্ররা। এসময় মেরিন ও শিপ বিল্ডিং ডিপ্লোমা ছাত্র কল্যাণ পরিষদ সমন্বয়ক সাদ ইবনে শরীফ বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, চাঁদপুর, ফরিদপুর, এবং বাগেরহাটের বিআইএমটিগুলোতে (বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি) প্রি-সি ট্রেনিংয়ের (সাগরে জাহাজে চাকরির জন্য করা ট্রেনিং) সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, ‘যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত সেখান থেকে আমাদের পরীক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করা হোক। দীর্ঘদিন এই দাবি জানিয়ে আসলেও সেটি করা হচ্ছে না। যার কারণে আমরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। তাই আমরা আমাদের যেসব দাবি আছে সেগুলো আদায়ের লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি। সরকারি চাকরিতে মেরিন শিপ বিল্ডিং ডিপ্লোমাতে কোনো সরকারি চাকরির সার্কুলার নাই। এতে করে কোর্স শেষ করেও দেশে চাকরির সুযোগ তৈরি হয় না। চাকরির জন্য বিদেশে যেতে হয়। এই বৈষম্য আমরা চাই না।’
সাদ ইবনে শরীফ আরো বলেন, ‘মেরিন ইনস্টিটিউটে ‘মেরিন টেকনোলজি’ সংক্রান্ত কোনো অভিজ্ঞ শিক্ষক নেই। যে কারণে উন্নত মানের প্রশিক্ষণ থেকেও আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। এ সকল বিষয়ে আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচি। শনিবার প্রথম দিন আমরা অর্ধদিবস ক্লাস বর্জন কর্মসূচি পালন করেছি। আগামীকাল (রোববার) পূর্ণ দিবস কর্মসূচি পালন হবে। দাবি আদায় না হলে সোমবার থেকে পূর্ণ শাটডাউন কর্মসূচি পালন করা হবে।’
এদিকে ছাত্রদের এ আন্দোলনকে যৌক্তিক বলছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকরাও। ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজির ইনস্ট্রাক্টর এ হাফিজ জানান, ছাত্রদের দাবিগুলো সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। চেষ্টা করা হচ্ছে তাদের যৌক্তিক দাবিগুলো পূরণের। শিক্ষক সংকটের বিষয়েও তারা সংশ্লিষ্টদের সাথে আলাপ করে সমাধানের চেষ্টা করছেন বলে জানান তিনি।