র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, নিহত দিনু বেগম (৬০) ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা এবং তার সৎ ছেলেদের সঙ্গে পারিবারিক ও পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিহত দিনু বেগমের ছেলে একজন অটোরিকশা চালক। তার সৎ ভাই জহিরুল ইসলাম (৩৫) ও নজরুল ইসলাম (৩২) প্রায়ই বিভিন্ন পারিবারিক বিষয় ও সম্পত্তি নিয়ে ঝগড়া-বিবাদে জড়িয়ে যেতেন। স্থানীয়ভাবে একাধিকবার বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তারা।
আরো জানা যায়, ঘটনার দিন ১৪ জুলাই সকাল ১০টায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পশ্চিম কলাবাগ (সাইলো গেইট) এলাকায় নিজ বাড়ির উঠানে বাদী ও তার মা দিনু বেগম অবস্থান করছিলেন। পূর্ব শত্রুতার জেরে অভিযুক্ত দুই ভাই অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করলে দিনু বেগম নিষেধ করতে যান। তখন তারা ক্ষিপ্ত হয়ে এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে শুরু করে।
চিৎকার শুনে তার ছেলে এগিয়ে গিয়ে দেখেন তার মাকে নির্মমভাবে মারধর করা হচ্ছে। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় দিনু বেগমকে উদ্ধার করে প্রথমে নারায়ণগঞ্জের ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান।
পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টায় দিনু বেগমের মৃত্যু হয়।
ঘটনার পরপরই র্যাব-১১ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত শুরু করে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়।
অবশেষে ১৫ জুলাই দিবাগত রাত ৩টা ৫০ মিনিটে মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার বিবন্দী এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি জহিরুল ইসলাম ও নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম শেষে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব-১১।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে চলা পারিবারিক বিরোধের জেরেই এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।