চিকিৎসকদের বেশ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছেন, সাজিদের শ্বাসরোধ করা হয়েছিল। এটি একটি হত্যাকাণ্ড।
রিপোর্ট মতে, সাজিদের শরীরে কোনো বিষাক্ত পদার্থের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। শ্বাসরোধের ফলে তার মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। পোস্টমর্টেমের সময় থেকে আনুমানিক ৩০ ঘণ্টা আগে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। শ্বাসনালীর বাধা বা বাতাস চলাচলে প্রতিবন্ধকতার ফলে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু ঘটে। এটি দুর্ঘটনা বা আত্মহত্যা নয়।
কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ‘ভিসেরা রিপোর্টে যেটা এসেছে সেটা থেকে বোঝা যাচ্ছে এটা হত্যাকাণ্ড।’
শ্বাসরোধ করে সাজিদের হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে আবারো বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন:
নিহত সাজিদ আবদুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। গত মাসের ২৭ জুলাই ভিসেরা প্রতিবেদন স্বাক্ষর হওয়ার পর তা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকদের কাছে আসে। সেই প্রতিবেদন দেখে গত ৩১ জুলাই চিকিৎসকরা ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আজিজুর রহমান হলের সামনে পুকুর থেকে তার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই সময় তার পরিবার ও সহপাঠীরা অভিযোগ করেছিলেন, সাজিদকে হত্যা করা হয়েছে। এরপর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও মানববন্ধন করে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা।