জনিকে নওয়াপাড়াতে আটকের পর তার ইকোপার্কসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযানে রয়েছে যৌথবাহিনী। বিষয়টি নিশ্চিত করে অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আলীম বলেন, ‘অভিযান শেষে গণমাধ্যমকে বিস্তারিত জানানো হবে।’
এদিকে জনি আটকের খবরে অভয়নগর থানার আশপাশে তার স্বজন ও সমর্থকদের ভিড় করতে দেখা যায়। জনি নওয়াপাড়া পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
রাজনীতিক পটপরিবর্তনের পর দলীয় বিশৃঙ্খলা ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে দল তার পদ স্থগিত করেছে।
আরও পড়ুন:
গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর অভয়নগরে নওয়াপাড়ার জাফ্রিদী এন্টারপ্রাইজের কর্ণধার শাহনেওয়াজ কবীর টিপুকে জনির কণা ইকোপার্কে বালুতে পুঁতে ও অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে কয়েক দফায় চার কোটি টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ করে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর স্ত্রী আসমা খাতুন।
ঘটনার ১১ মাস পর চলতি বছরের ২ আগস্ট আসাদুজ্জামান জনিসহ ছয়জনের নামে অভয়নগর থানায় মামলা করেন। স্থানীয় সেনাক্যাম্পেও একই অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী নারী।
মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ডিশ ব্যবসায়ী মিঠু ও জনির বাবা কামরুজ্জামানকে আগেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সকালে জনিকে আটক করা হয়।
এ মামলায় পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত তিন আসামি পৌর বিএনপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক সম্রাট হোসেন, নওয়াপাড়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ধর্মভিত্তিক একটি রাজনৈতিক দলের সদস্য মফিজুর রহমান দপ্তরী ও গরু হাটখোলার সৈকত হোসেন হিরা। অভয়নগর থানার ওসি আব্দুল আলিম জানান, বাকিদের আটকে অভিযান চলছে।
এছাড়া ঘটনার পর অভিযুক্তরা পলাতক থাকলেও তাদের স্বজনেরা যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে চাঁদাবাজির ঘটনা অস্বীকার করেন।