এ বিষয়ে ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের কাছে পূর্বে তথ্য ছিল আজ বুনিয়া সোহেল জেনেভা ক্যাম্পে আসবে। তাকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশে আমরা একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করি। যৌথবাহিনী ওই স্থানে পৌঁছার সাথে সাথেই তারা সম্পূর্ণ বিদ্যুতিক লাইন বন্ধ করে দেয় এবং বাসার বিভিন্ন দরজা, জানালা ও ছাদ দিয়ে দিক বেদিক ছোটাছুটি করে পালিয়ে যায়। যেহেতু পুরো এলাকা অন্ধকার হয়ে যায় এবং জায়গাটি অনেক সংকীর্ণ ও একটি বিল্ডিংয়ের সঙ্গে আরেকটি বিল্ডিং লাগানো তাই আসামিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘তারপর আমাদের অভিযানিক দল বুনিয়া সোহেলের আস্তানাটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশি করে। তল্লাশিতে এক কোটি টাকার ওপরে নগদ টাকা, সন্ত্রাসী কার্যক্রম করার বিভিন্ন সামগ্রী ও মাদক উদ্ধার করা হয়।’
আরও পড়ুন:
সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘বুনিয়া সোহেলের বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় হত্যা, বিস্ফোরক ও মাদক মামলাসহ মোট ৩৮টি মামলা রয়েছে। এবছরের শুরুর দিকেই বুনিয়া সোহেল গ্রেপ্তার হয়। কিন্তু ছয় মাস কারাবাসের পরে অল্প কিছুদিন আগে জামিনে বের হয়ে আসে। জামিনে মুক্ত হওয়ার পরপরই বুনিয়া সোহেল আবার ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে অপরাধ কার্যক্রম শুরু করে।’
তিনি বলেন, ‘গত দুইদিন আগেই সোহেলের লোকজন জেনেভা ক্যাম্পে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করে। ওই দিন রাতে আমরা একটি অভিযান পরিচালনা করি এবং বুনিয়া সোহেলের ১৩ জন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করি। আজ অল্পের জন্য বুনিয়া সোহেল হাতছাড়া হয়ে যায়। তবে তাকে এবং অন্যান্য সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করার জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
জব্দকৃত সব সামগ্রী মোহাম্মদপুর থানায় পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে।