'জাতীয় বাজেট ২০২৫-২৬: অবহেলিতরা কী পেলেন?' এমন আলোচনায় অংশ নেন অর্থনীতিবিদ, রাজনৈতিক, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। আজ (বুধবার, ১৮ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে এই আলোচনার আয়োজন করে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম।
আলোচনার শুরুতেই, বাজেটে অপ্রাপ্তির ফর্দ এবং হতাশার কথা বলেন নিম্ন আয়ের এসব মানুষেরা। আর বৈশ্বিক সংকট সামনে রেখে বিজিএমইএ সভাপতির দাবি, এই মুহূর্তে দেশের কারখানাগুলোর জন্যে জ্বালানি নিরাপত্তা নেই।
এসময়, এবারের বাজেট নিয়ে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির কথা বলেন রাজনীতিবিদরা। তাদের মতে, এই বাজেট অর্থনৈতিক রূপান্তরের জন্য যথেষ্ট নয়। এমনকি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার আশার প্রতিফলন হয়নি বাজেটে।
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, ‘অর্থনৈতিক রূপান্তরের উদ্যোগ এই বাজেটের মধ্যে আমরা দেখতে পাইনি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষা ছিল, যে চাওয়া ছিল তার প্রতিফলন আমরা দেখতে পাইনি।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা ছিল গণঅভ্যুত্থানের পরে নতুন নতুন প্রোগ্রাম হওয়ার কথা ছিল তা হয়নি। কীভাবে যারা তরুণ রয়েছে তাদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করবো।’
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম বলেন, ‘সংস্কার কমিশন নিয়ে যে কাজ হয়েছে সেখানে ভালো সংবাদ নেই। কারণ রাজনীতিবিদরা আমরা আসল জায়গায় একমত হতে পারিনি।’
বাজেটে কর ব্যবস্থার সংস্কার জরুরি ছিল বলে মন্তব্য করেন অর্থনীতিবিদরা। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক এবং সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, জাতির প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি বাজেটে।
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘সংস্কারের যে ধারণা চেতনা আমরা সামনে এনেছিলাম এই সরকার নিজে আমাদের দিয়ে যে কাজগুলো করিয়েছিল সেগুলোর প্রতি তারা বিশ্বস্ত থাকেনি। সেহেতু এই বাজেট সংস্কার বিমুখ বাজেট হয়েছে।’
অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘বরাদ্দগুলো আরো স্বচ্ছতার জায়গায় আসবে। এই বাজেটের মধ্যে পরিবর্তন হয়নি।’
আলোচনায় উঠে আসে; শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দ কর্তন, আয়-ব্যয়ের কাঠামোর অনুপস্থিতি ও বাস্তবায়নের স্বচ্ছতা বিষয়েও।