বর্তমানে এসব বন্দরে কোনো আমদানি-রপ্তানি বা ইমিগ্রেশন কার্যক্রম না থাকায় এবং অবকাঠামো গড়ে না ওঠায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের আওতাধীন যে তিনটি বন্দর বন্ধ হবে, সেগুলো হলো—নীলফামারীর চিলাহাটি, চুয়াডাঙ্গার দৌলতগঞ্জ ও রাঙামাটির তেগামুখ স্থলবন্দর। এছাড়া ভারতীয় অংশে অবকাঠামো না থাকায় হবিগঞ্জের বাল্লা স্থলবন্দরের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত থাকবে।
চলতি বছরের ২৮ জুলাই পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় পরিকল্পনা বিভাগ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:
এর আগে গত ১০ আগস্ট দেশের যেসব স্থলবন্দর দিয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয় না কিংবা লোকসানে চলছে, সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
সে সময় তিনি বলেন, ‘দেশের ২৪টি স্থলবন্দরের মধ্যে আটটি বন্ধ করতে চেয়েছিলাম। এরই মধ্যে চারটি বন্ধ করতে পেরেছি। বাকি ২০টি স্থলবন্দরের মধ্যে ১২-১৪টির বেশি কার্যকর নেই।’
হিলি স্থলবন্দর পরিদর্শনকালে নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘এসব বন্দরকে আধুনিকায়ন করে কী হবে, এক পয়সা যেখানে আয় নেই। সারা বছর যেখানে ১০-৩০ হাজার টাকা আয় হয়, ব্যয় হয় এর চেয়ে অনেক বেশি।’
তবে যেসব বন্দর কার্যকরী ও বড় সেগুলোকে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘কিছু নদীবন্দর রয়েছে, এগুলোকে পরিচালনার জন্য বেসরকারি খাতে দেয়ার চেষ্টা করছি।’