সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়ন ফর্ম উত্তোলন করা যাবে। এছাড়া পুনর্বিন্যস্ত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন পত্র দাখিল করা যাবে ২৭ এবং ২৮ আগস্ট। মনোনয়ন পত্র বাছাই চলবে ৩১ আগস্ট এবং ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হবে ২ সেপ্টেম্বর। মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর। প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা ৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করা হবে। তবে ভোট গ্রহণ ১৫ সেপ্টেম্বরেই অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন:
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আমজাদ হোসেন বলেন, ‘আজ থেকে মনোনয়ন ফর্ম বিতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের কারণে প্রস্তুতিতে ঘাটতি ছিল। আবাসিক হলে মনোনয়ন ফর্ম পৌঁছাতে পারিনি। আজ বিকেলে নির্বাচন কমিশন সভা করে তফসিল পূর্ণবিনস্ত করেছে। আগামী রোববার থেকে শুরু হবে মনোনয়নপত্র বিতরণ কার্যক্রম। আবাসিক হলগুলোতে হবে নির্বাচন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২০ সদস্যের কমিটি সার্বক্ষণিক তৎপর আছে। নিরপেক্ষ নির্বাচনে গণমাধ্যম প্রবেশে কোন বাঁধা নেই।’
এরইমধ্যে মধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে রাকসুর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। তালিকায় মোট ভোটার ২৪ হাজার ৮৯২ জন। যার মধ্যে ছাত্র ১৫ হাজার ১৫১ জন এবং ছাত্রী ৯ হাজার ৭৪১ জন। ১৭ টি আবাসিক হলের আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
রাকসু ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০ টাকা। আর হল সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন ফরমের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ টাকা।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রায় এক দশক পর ১৯৬২ সালে রাকসু প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর মোট ১৪টি নির্বাচন হয়েছে। সর্বশেষ ১৯৮৯ সালে রাকসু নির্বাচন হয়েছিল।
৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘ ৩৫ বছর পর রাকসু নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর রাকসুর ভোট গ্রহণ করা হবে।