আকাশের দিকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে জিরাফ, যেন তার দীর্ঘ গলা মাটির স্নেহ আর আকাশের বিশালতার সেতুবন্ধন। ধীরে ধীরে এগোয় সে, যেন সময় একটু থমকে গেছে। বাচ্চারা এগিয়ে গিয়ে হাত বাড়ায়, আর সে নম্রভরে গ্রহণ করে তাদের ভালোবাসা।
কানে আসে পাখিদের কিচিরমিচির, রঙের এক মহোৎসব। হলুদ, সবুজ, নীল, কমলা পাখিদের ডানায় আছে স্বাধীনতার গল্প, ডাকের মধ্যে শৈশবের সুর।
প্রাণিকূলের রঙিন প্রজাতি যেন প্রকৃতির জীবন্ত আর্টগ্যালারি। তার ডানায় লাল, নীল, হলুদ আর কালোর নিখুঁত ছাপ, যেন প্রকৃতি নিজেই এঁকেছে। টার্টল ব্যাক শুধু পশুপাখির আবাস নয়, এক জৈব রেনেসাঁ। প্রতিটি প্রাণীর আছে নিজস্ব গল্প। ঝুলে থাকা বানরের দল যেন এক কৌতুক নাটক।
জলের পাশে দাঁড়ানো ফ্ল্যামিংগোর দল, গোলাপি রঙে ভরা, যেন ভোরের আলো পানির ওপর নেমেছে। এক পায়ে দাঁড়িয়ে তারা যেন ধ্যানমগ্ন যোগী, প্রকৃতির গান গাইছে।
টার্টল ব্যাক শুধু কোমল নয়, জঙ্গলের গর্জনও শোনা যায়। বনের ভাল্লুক, সিংহ, হায়েনা আর চিতাবাঘের নিঃশব্দ বিশ্রাম কিংবা বিয়ারের হাটাচলা— সবই প্রকৃতির কঠোর ও কোমল দুই ধারার সাক্ষী।
এক শতবর্ষী কচ্ছপ ধীরে ধীরে সময় বইয়ে বেড়ায়, পাশে বিশ্রামে ছোট-বড় কুমির, এত চুপচাপ যেন জীবন্ত নিদ্রা।
বাংলাদেশে ছাগল পরিচিত, কিন্তু আমেরিকার শিশুদের কাছে বিস্ময়। কেউ আদর করে, কেউ ভয় পায় তার দুষ্টু চাহনিতে। পাশে গরু, যার শান্ত চোখে নির্ভরতার ছাপ। মোরগের ডাক ভোরের সুর তোলে।
জ্ঞান, মজা আর প্রকৃতির বন্ধন— এটাই টার্টল ব্যাক জুর এক অপূর্ব অভিজ্ঞতা। নিউ জার্সিতে এসে যদি বিশ্রাম আর শিক্ষা দুটোই চান, এই জায়গা হতে পারে আপনার পরবর্তী গন্তব্য।