নতুন করে শুরু হয়েছে করোনার প্রকোপ। এরই মধ্যে দেশে বেশ কয়েকজনের নতুন করে করোনা আক্রান্তের খবর আতঙ্ক ছড়িয়েছে জনমনে।
করোনার চোখ রাঙানি শুরু হলেও প্রস্তুত নয় চট্টগ্রাম। নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসক, পরীক্ষার কিট কিংবা টেকনিশিয়ান। তার উপর দীর্ঘদিন বেতন ভাতা না পাওয়ায় ল্যাব কনসালটেন্ট ও অ্যাসিস্ট্যান্টরা পালন করছেন কর্মবিরতি। এতে বন্ধ রয়েছে সরকারি আরটিপিসিআর টেস্টও। পর্যাপ্ত আইসিইউ থাকার কথা বললেও চিকিৎসক সংকটের কথা বলছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
এরই মধ্যে ৫ হাজার আরটিপিসিআর টেস্ট কিট সরবরাহের জন্য চাহিদাপত্র দিয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং দ্রুতই পরীক্ষাগারের লোকবল নিয়োগের প্রক্রিয়াও শুরু করেছে।
এ ছাড়া, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল, বিআইটিআইডি ও সিটি করপোরেশন হাসপাতালকে করোনার বিশেষায়িত হাসপাতাল হিসেবে প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দীন বলেন, ‘আইসিইউ এর যে ফ্যাসিলিটিসগুলো, সেগুলো আগের মতোই আছে।’
চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক অং সুই প্রু মারমা বলেন, ‘শুধু চট্টগ্রাম শহর নয়, বিভাগের ১১টি জেলা হাসপাতালে ও প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাতে পর্যাপ্ত সরঞ্জাম থাকে, সেই ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উদ্যোগ নিয়েছি।’
করোনায় চট্টগ্রামের সব হাসপাতালেই র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট চালু আছে। তবে কিট পাওয়া সাপেক্ষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিআইটিআইডি, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আরটিপিসিআর টেস্ট চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এছাড়াও টিকার মজুতও বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ৮০ হাজার ফাইজারের টিকা মজুত রয়েছে। যার ১৫ থেকে ২০ হাজার এরই মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
চসিকের মেয়র ডা. শাহদাৎ হোসেন বলেন, ‘আমরা অনুধাবন করছি যে, রোগী আরো আসতে পারে। সেজন্য চট্টগ্রাম বিমানবন্দর দিয়ে অথবা যারা বাই-রোডে আসবে, সেসব জায়গায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা অবলম্বন করতে হবে।’
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সব চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের আমরা মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছি।’
মঙ্গলবার (১০ জুন) চট্টগ্রামে তিনজনের কোভিড শনাক্ত হয়। নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধি ঠেকাতে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে স্ক্রিনিং মেশিন স্থাপন ও তাপমাত্রা পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ভিড় এড়িয়ে ও মাস্ক ব্যবহার করে চলাচলের অনুরোধ জানিয়েছে চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগ।