কুষ্টিয়ায় বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ, হাসপাতালে দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট

হাসপাতালে রোগী ও তাদের স্বজনরা
হাসপাতালে রোগী ও তাদের স্বজনরা | ছবি: এখন টিভি
0

কুষ্টিয়ায় বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। শুষ্ক আবহাওয়া আর ঠান্ডা বাতাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বায়ুদূষণও। শিশুসহ সব বয়সী মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও জ্বরে। বাড়তি রোগীর চাপে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের প্রায় সব ওয়ার্ডেই দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট।

পৌষের শুরুতেই কুষ্টিয়ায় শীতের তীব্রতা। কনকনে ঠান্ডায় ভোরের কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের দেখা মিললেও কমছে না শীত। একই সঙ্গে শুষ্ক আবহাওয়া ও ঠান্ডা বাতাসের কারণে বাতাসে বেড়েছে ধুলাবালির পরিমাণ।

শীতের দাপট আর বায়ু দূষণের প্রভাবে আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে শিশুরা। শুধু শিশু ওয়ার্ড নয়, মেডিসিনসহ অন্যান্য ওয়ার্ডেও বেড়েছে রোগীর ভিড়।

রোগীর স্বজনদের একজন বলেন, ‘ঠান্ডা,জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেছি হাসপাতালে। এখন অনেকটাই সুস্থ আছে। হাসপাতালে বর্তমানে অনেক রোগীর চাপ।’

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে নতুন ঝুঁকিতে পড়ছেন সেবাপ্রত্যাশীরা। হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে বেডের নিচে তেলাপোকা ও ছারপোকার উপদ্রব, ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ময়লা-আবর্জনায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। দ্রুত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ভুক্তভোগীরা।

আরও পড়ুন:

ভুক্তভোগীরা জানান, সেখানে অনেক তেলাপোকার উপদ্রব। ফলে এখানে রোগ ঠিক হওয়ার বদলে আরও রোগ-জীবাণু বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঠান্ডার চিকিৎসা নিতে এসে ডাইরিয়া রোগের শঙ্কায় ভুগছেন তারা।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, শয্যা ও জনবল সংকট থাকলেও সেবা দেয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন তারা। পাশাপাশি হাসপাতালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতে দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ারও আশ্বাস তাদের।

কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. হোসেন ইমাম বলেন, ‘এখানে জনবলের সংকট রয়েছে। নার্স ও ডাক্তারের সংকটও রয়েছে। এর আগেও বেড অপরিষ্কার থাকার বিষয়ে রিপোর্ট পেয়েছি। আমরা এ বিষয়ে আরও কনসার্ন হবো।’

ঠান্ডা ও বায়ু দূষণজনিত এই বাড়তি রোগীর চাপ সামাল দিতে হাসপাতালের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি বাড়াতে হবে জনসচেতনতা, এমনটাই বলছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

এফএস