১৯৭২ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন কসমস-৪৮২ নামে একটি উৎক্ষেপণ করে। যা ভেনাস বা শুক্র গ্রহের পৃষ্ঠে অবতরণের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। তবে এই মহাকাশযানটি শুক্র গ্রহের উপরিভাগে পৌঁছাতে পারেনি। যে রকেটটি এটি উৎক্ষেপণ করেছিল তাতে একটি অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়, যার ফলে নভোযানটি পৃথিবীর চারপাশে একটি উপবৃত্তাকার কক্ষপথে আটকে যায়। যেখানে এটি ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে অবস্থান করছে।
মহাকাশে পাঁচ দশকের সেই অবস্থান ১০ মে থেকে ১৩ মে এর মধ্যে শেষ হতে পারে। কসমস-৪৮২ পৃথিবীতে পুনরায় প্রবেশ করবে এবং পৃথিবীর পৃষ্ঠের কোথাও বিধ্বস্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে দ্য অ্যারোস্পেস করপোরেশনের সেন্টার ফর অরবিটাল অ্যান্ড রিএন্ট্রি ডেব্রিস স্টাডিজ (সিওরআরডিএস) অনুসারে, নভোযানটি কোথায় এবং কখন পড়বে তা এখনও অনিশ্চিত।
এটি ১০ থেকে ১৩ মে মধ্যরাতের পর পৃথিবীতে প্রবেশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে কসমস-৪৮২ এর প্রবেশ অন্যান্য মহাকাশযানের আবর্জনার মতো বিপজ্জনক নাও হতে পারে।
ক্যাপসুলটিতে ৩.৩ ফুট প্রশস্ত টাইটানিয়াম শেল রয়েছে। যা তাপ নিরোধক এবং শুক্র গ্রহের তাপ সহ্য করার মতো করে ডিজাইন করা হয়েছে। এর ওজন প্রায় ৫০০ কিলোগ্রাম।
কিন্তু সিওরআরডিএসের মতে, পতনশীল নভোযানটি আঘাতে আঘাত পাওয়ার ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ পৃথিবী পৃষ্ঠের ৭১ শতাংশ পানিতে ঢাকা, এবং বেশিরভাগ জমি জনশূন্য। নভোযানটি কোথাও এই দুই জায়গার কোথাও অবতরণ করার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও ঝুঁকির কথা একেবারেই উড়িয়ে দেয়া যায় না।
স্যাটেলাইট ট্র্যাকার এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বছরের পর বছর ধরে কসমস-৪৮২ কে ট্র্যাক করে আসছেন। ২০১৯ সালেও একবার এমন খবর পাওয়া গিয়েছিল যে নভোযানটি এক বছরের মধ্যে পৃথিবী পৃষ্ঠে পড়ে যেতে পারে, যা ঘটেনি।