টার্ফে ফুটবল পায়ে ঝলক দেখাতেই পড়ে গেলো লাল দলের দুই খেলোয়াড়। যদিও উঠে দাঁড়াতে বেশিক্ষণ সময় নেয়নি রোবটগুলো। পড়ে যাবার ধরন কয়েকদিন যাবৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাস্যরসের জন্ম দিলেও রোবট খেলোয়াড়দের ড্রিবল ও শুটিং স্কিলে নেটিজেনদের চোখ ছানাবড়া। প্রথমবারের মতো ওয়ার্ল্ড হিউম্যানোয়েড রোবট গেমসের জন্যই এভাবেই শেষ মুহূর্তে নিজেদের দলকে ঝালিয়ে নিচ্ছে চীন।
সাম্প্রতিক সময়ে চিনের জাতীয় ফুটবল দল আন্তর্জাতিক মঞ্চে তেমন ছাপ ফেলতে পারেনি। তবে ফুটবল নিয়ে রোবটদের এই ভেলকি আলোড়ন ফেলে দিয়েছে গোটা বিশ্বে। রোবটগুলো মেসি, নেইমার, এমবাপ্পের মতো ফুটবল খেলার আধুনিক কৌশল এখনো পুরোপুরি রপ্ত করতে না পারলেও তাদের টিম বন্ডিংয়ে খুশি নির্মাতা।
আরও পড়ুন:
প্রতিটি রোবটকেই নিয়ন্ত্রণ করে তাদের কৃত্রিম মেধা। রোবটগুলির মধ্যে রয়েছে উন্নত মানের 'ভিজ়্যুয়াল সেন্সর'। এর মাধ্যমেই রোবটগুলি ফুটবলকে চিহ্নিত করার পাশাপাশি কাকে বল পাস করতে হবে, তা শনাক্ত করতে পারে। খেলার সময়ে মাঠে পড়ে গেলে, নিজেরাই উঠে দাঁড়াতে পারে এই রোবটরা। তবে সব সময় যে উঠে দাঁড়াবেই, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই।
সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হেফেস্টাস টিমের সদস্যরা জানান, প্রথমবারের মতো বিশ্ব হিউম্যানয়েড রোবট গেমসের আয়োজনে অংশ নিতে পেরে উচ্ছস্বিত তারা। নিজ দেশে এমন প্রতিযোগীতার বিজয়ী হওয়াই প্রধান লক্ষ্য তাদের।
হেফেস্টাস টিমের সদস্যদের মধ্যে একজন বলেন, ‘এই ধরণের বিশ্বমানের প্রতিযোগিতায় আমরা প্রথমবার অংশগ্রহণ করছি, বিভিন্ন দেশের খেলেয়ারদের অংশে প্রতিযোগিতা আমরা লড়াই করতে প্রস্তুত। আমরা সত্যিই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। সেন্সরের মাধ্যমে রোবটগুলো মানুষের গতিবিধি দেখে শেখানো হয়েছে কিভাবে বল ড্রিবল করতে হবে, কিভাবে লাথি মারতে হবে।’
আরেকজন বলেন, ‘আমাদের দলের প্রধান লক্ষ্য ভেন্যু, প্রতিপক্ষের কৌশল কাজে লাগিয়ে ভাল ফলাফল করা। আমরা আশা করছি আমাদের দল ভাল খেলবে।’
আগামী ১৪ আগস্ট থেকে বেইজিংয়ে শুরু হবে বিশ্ব হিউম্যানয়েড রোবট গেমস। টুনার্মেন্টে তিনটি বিভাগে থাকবে ১৮টি ইভেন্ট। নিজেদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা জানান দিতে টুনার্মেন্টে অংশ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, জার্মানি, পর্তুগাল সহ দেশগুলির ত্রিশটি দল।