আল জাজিরার দাবি, মূলত ভারতীয় মিডিয়া সেলের কারণেই প্রতিবেশী ও মিত্র দেশের দ্বারস্থ হতে হয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফকে। ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে নয়াদিল্লি যে বিদ্বেষমূলক ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে, তার বিপরীতে নিজেদের অবস্থান জানান দিতেই দফায় দফায় বিদেশ সফরে যাচ্ছেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
প্রতিবেদনে আরো দাবি করা হচ্ছে, শেহবাজ শরীফের এই ৪ দেশ সফরের সঙ্গে জড়িত আছে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ পরবর্তী ন্যারেটিভের ঘনিষ্ঠ সংযোগ। পেহেলগাম হত্যাকাণ্ড, অপারেশন সিন্দুর, ৬ দশকের পুরনো সিন্ধু চুক্তিসহ নানা ইস্যুতে নিজেদের খেয়াল-খুশিমতো সংবাদ প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম। কূটনৈতিক মহলে সাম্প্রতিক এই ঘটনাপ্রবাহের একটি নিজস্ব সংষ্করণ প্রচার করতে দেখা গেছে মোদি প্রশাসনের। গেরুয়া শিবিরের ত্রাণকর্তা খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদির কণ্ঠেও শোনা গেছে, হিন্দু প্রাইড আর রুটি-বুলেটের হুংকার।
আল জাজিরার বিশ্লেষণ বলছে, নয়াদিল্লির প্রোপাগান্ডা ভেস্তে দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রবর্তক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চায় পাকিস্তান। পেহেলগাম কাণ্ডের পর ভারতের মোদি সরকার ও দেশটির গণমাধ্যম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার চালিয়েছে, তা প্রতিহত করতে অংশীজনদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্ব দিচ্ছে শেহবাজ সরকার। তবে বর্তমান পাকিস্তান প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ভাষ্য, দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রবর্তক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চায় পাকিস্তান।
দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর প্রভাব, কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থকদের সঙ্গে ক্ষমতাসীন শেহবাজ শরীফ সরকারের বিরোধ, সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে পরোক্ষ মদত দেয়ার অভিযোগসহ নানা কারণে কূটনৈতিকভাবে চাপে আছে পাকিস্তান। এমন প্রেক্ষাপটে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে একটি নির্ভরশীল অংশীজন হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে পাকিস্তান।