যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন স্থগিত, অনিশ্চয়তায় পাকিস্তানের আফগান শরণার্থীরা

আফগান শরণার্থী
আফগান শরণার্থী | ছবি: সংগৃহীত
0

যুক্তরাষ্ট্র সবধরনের অভিবাসন আবেদন স্থগিত করায় শঙ্কায় দিন গুনছেন পাকিস্তানে আটকে থাকা হাজারো আফগান শরণার্থী। তারা বলছেন, ওয়াশিংটনের এ সিদ্ধান্ত দেশ ছেড়ে পালানো হতভাগ্য আফগানদের বহু বছরের প্রতীক্ষা ভেঙে দিয়েছে। এখন, ইসলামাবাদ গণ-বিতাড়ন শুরু করলে তালেবান শাসকগোষ্ঠী এই শরণার্থীদের সঙ্গে কী আচরণ করবে- এনিয়েও শুরু হয়েছে নানা জল্পনা।

২০২১ সালে তালেবানরা আফগানিস্তানের ফের ক্ষমতায় আসার পর পাকিস্তানে আশ্রয় নেন ইহসান উল্লাহ আহমেদজাই নামের সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী। এখান থেকে ওয়াশিংটনে পাড়ি দিতে প্রহর গুনেছেন বহুবছর। কিন্তু তার এই অপেক্ষা সম্ভবত আর আলোর মুখ দেখবে না।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে অ-ইউরোপীয় ১৯ দেশের অভিবাসন আবেদন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পের স্থগিতাদেশের কারণে তালিকাভুক্ত ওই দেশগুলোর নাগরিকদের গ্রিন কার্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়াও সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। আর এই তালিকায় আছে আফগানিস্তান।

আফগানি বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘খুবই হতাশ হয়েছি এই সিদ্ধান্তে। আমরা যা প্রত্যাশা করেছিলাম এটা ঠিক তার উল্টোটা হয়েছে। পাকিস্তানে বসবাসকারী আফগান সম্প্রদায়, যারা মার্কিন অনুমোদনের অপেক্ষা করছিলেন, তারা সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে যাচ্ছে।’

আরও পড়ুন:

২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানে পালিয়ে আসেন হাজারো আফগান। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত এই হতভাগ্য শরণার্থীদের বহুবছরের প্রতীক্ষা ভেঙে দিয়েছে। যাদের অনেকেই এখন অস্থায়ীভাবে বসবাস করছেন পাকিস্তানে।

এরইমধ্যে অবৈধ শরণার্থীদের দেশত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে ইসলামাবাদ। যারা যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসনই নিরাপদ জীবনের একমাত্র পথ হিসেবে দেখছিলেন- তাদের জীবন এখন গভীর অনিশ্চয়তায়। জোর করে দেশে ফেরত পাঠানো হলে তালেবানরা তাদের সঙ্গে কী আচরণ করবে সেই শঙ্কা ঘিরে ধরেছে আফগান শরণার্থী ফাতিমা আলী আহমাদিকে।

আফগান শরণার্থী ফাতিমা আলী আহমাদিকে বলেন, ‘ভবিষ্যতের কথা ভেবে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। আমার কোনো আশাই আর পূরণ হবে না। খেলোয়াড় হতে চেয়েছিলাম, সংবাদকর্মী হওয়ারও স্বপ্ন ছিল। পাকিস্তান কিংবা আফগানিস্তানে বসবাস করে এই স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব না।’

এমন পরিস্থিতিতে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা আফগানদের আবেদন প্রক্রিয়া সচল করতে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসনের প্রতি আহ্বান এই শরণার্থীদের।

সেজু