এ পরিস্থিতি হামাস-ইসরাইল যুদ্ধবিরতি আলোচনা এগিয়েছে বলে আবারও দাবি করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে, গাজা যুদ্ধ বন্ধ ও জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে ইসরাইলের তেল আবিবে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে।
যুদ্ধবিরতি মেনে ইরানে ইসরাইলি হামলা বন্ধ হলেও, থেমে নেই গাজায় তাদের গণহত্যা। প্রতিদিনই ফিলিস্তিনিদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। আজ (রোববারও উপত্যকাটির বেশ কয়েকটি শহরে হামলা করে তারা। এতে নারী ও শিশুসহ নিহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। একই দিন হামাস নেতা হাক্কাম মুহাম্মদকে হত্যার দাবি করে ইসরাইলি সেনারা।
এ পরিস্থিতিতে গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে আইডিএফ। কারণ এ অঞ্চলে অভিযানের তীব্রতা আরও কয়েকগুণ বাড়াবে বলে হুঁশিয়ারি তেল আবিবের।
মৃত্যভয়ের পাশাপাশি গাজায় তীব্র আকার ধারণ করেছে খাদ্যসংকট। শিশুখাদ্যের অভাবে অপুষ্টিজনিত মৃত্যু হারও বেড়েছে ফিলিস্তিনি শিশুদের মধ্যে। ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, শিশুখাদ্য আটকে রেখে গাজাকে নরকে পরিণত করেছে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী। ইসরাইল ছাড়াও যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও জার্মানিকেও এর দায় নিতে হবে বলে দাবি ফিলিস্তিনিদের। এছাড়াও ত্রাণ সরবরাহ চালু রাখতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান তাদের।
আরো পড়ুন:
ফিলিস্তিনিদের একজন বলেন, ‘সন্ধ্যায় এখানে বসেছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পাই। এই জায়গাটিতে অনেকগুলো তাঁবু ছিল। যেগুলোর সবই এখন বালুর নিচে। কয়েকজন মিলে বালুর ভেতর থেকে মরদেহ টেনে বের করার চেষ্টা করছি।’
আরেকজন বলেন, ‘যেখানে ইসরাইল হামলা করেছে সেখানে সাধারণ ফিলিস্তিনিরা ছিল। নারী ও শিশুরা ছিল। তবে কেন এখানে হামলা করলো তারা।’
এ পরিস্থিতিতে আবারও হামাস-ইসরাইল যুদ্ধবিরতি নিয়ে আশা দেখালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া পোস্টে ট্রাম্প বলেন, যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই রাজি হবেন। অপরদিকে নেতানিয়াহু'র বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলার সমালোচনা করেন ট্রাম্প।
এদিকে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ ও জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে ইসরাইলের তেল আবিবে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। যেখানে অংশ নিয়েছে কয়েক হাজার ইহুদি। সেসময় ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর পতনের দাবিও তোলেন বিক্ষোভকারীরা।