নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে চীনভিত্তিক একটি টার্মিনাল অপারেটর প্রতিষ্ঠান, যেটি একাধিকবার নিষিদ্ধ ট্যাংকার থেকে ইরানি তেল গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), তুরস্ক ও ইন্দোনেশিয়ার একাধিক প্রতিষ্ঠানকেও চিহ্নিত করা হয়েছে, যারা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ইরানি পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য কিনেছে বা বিক্রি করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আগে সতর্ক করে বলেছিলেন, যারা ইরানি তেল বা পেট্রোকেমিক্যাল কেনে, তারা মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশাধিকার হারাবে।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট ইরানের শাসকগোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি হোসেইন শামখানির নেতৃত্বাধীন একটি বিশাল শিপিং ও নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত ১১৫টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। হোসেইন শামখানি ইরানের সর্বোচ্চ নেতার রাজনৈতিক উপদেষ্টা আলি শামখানির পুত্র।
এ নিষেধাজ্ঞাগুলো ইরানের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের জারি করা সর্বোচ্চ চাপ কৌশলের অংশ হিসেবে আরোপ করা হয়েছে। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সালে ঘোষিত ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি প্রেসিডেনশিয়াল মেমোরেন্ডাম ২’ অনুসারে এটি ইরানি তেল বিক্রির ওপর একাদশ দফা নিষেধাজ্ঞা।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, যতক্ষণ না ইরান আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে একটি গ্রহণযোগ্য চুক্তিতে সম্মত হচ্ছে এবং পরমাণু অস্ত্র অর্জনের সব প্রচেষ্টা পরিত্যাগ করছে, ততক্ষণ এই চাপ অব্যাহত থাকবে।