জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তাসফিন ফেরদৌসকে দেখতে গিয়ে ইনস্টিটিউটের ডাক্তারদের প্রশংসা করে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী জানান, তার আজকের এ ইনস্টিটিউট পরিদর্শনের উদ্দেশ ছিল একটি ব্যতিক্রমধর্মী চিকিৎসা সাফল্য প্রত্যক্ষ করা। একটি সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হাত ২১ ঘণ্টার জটিল অপারেশনের মাধ্যমে সফলভাবে জোড়া লাগানো, যা সাধারণত অত্যন্ত কঠিন এবং বিরল ঘটনা।
তিনি বলেন, ‘টঙ্গীর তাসফিন ফেরদৌস নামে এক কিশোর সন্ত্রাসীদের হামলায় হাত হারায়। আমাদের চিকিৎসকদের দক্ষতায় ২১ ঘণ্টার দীর্ঘ ও জটিল অপারেশনে তার সেই বিচ্ছিন্ন হাতটি পুনরায় সংযুক্ত করা হয়েছে। এখন সে হাত নাড়াতে পারছে, আঙুল নাড়াতে পারছে—এটি সত্যিই বিস্ময়কর একটি অর্জন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের চিকিৎসকরা যদি যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা পান, তবে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে হবে না। মেধা, মনন ও দক্ষতায় বাংলাদেশের চিকিৎসকরা অসাধারণ। আজ সেই সক্ষমতার বাস্তব প্রমাণ আমরা এখানে দেখলাম।’
আরও পড়ুন:
তিনি অপারেশন পরিচালনাকারী চিকিৎসক দলকে বিশেষ অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘ডা. শরীফের নেতৃত্বে পুরো টিম যে নিষ্ঠা, শ্রম ও দক্ষতা দেখিয়েছেন, এটি আমাদের জাতির অর্জন। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তাসফিন আজ সুস্থতার পথে আছে, এটি আমাদের গর্ব।’
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির পরিচালক প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, একাডেমিক কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ডা. ফোয়ারা তাসমিম, সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শরীফ (অপারেশনের নেতৃত্বদানকারী), স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ডা. জাহিদুল কবির জাহিদ, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়ালসহ অন্যরা।
উল্লেখ্য, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারিতে ডা. মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শরীফের তত্ত্বাবধানে ২১ ঘণ্টার জটিল মাইক্রোসার্জারি করে তাসফিন ফেরদৌস এর হাত জোড়া লাগানো হয়।





