গ্রেপ্তারের ঝুঁকি মাথায় নিয়েই আলাস্কায় পা রাখতে যাচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট!

ভ্লাদিমির পুতিন, ডোনাল্ড ট্রাম্প
ভ্লাদিমির পুতিন, ডোনাল্ড ট্রাম্প | ছবি: সংগৃহীত
0

ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের দায়ে মাথার উপর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও; কীভাবে আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন? তবে কি গ্রেপ্তারের ঝুঁকি মাথায় নিয়েই আলাস্কায় পা রাখতে যাচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। নাকি সেখানে গিয়ে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার বিন্দু পরিমাণ শঙ্কা নেই বলেই ট্রাম্পের ডাকে সারা দিচ্ছেন?

১৮৬৭ সালে ৭২ লাখ ডলারের বিনিময়ে রাশিয়ার কাছ থেকে আলাস্কা কিনে নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের ইস্যুতে সেই আলাস্কাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কিন্তু প্রশ্ন হলো- ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের দায়ে ২০২৩ সালে হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত-আইসিসি পুতিনের বিরুদ্ধে যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন; তা সত্ত্বেও কীভাবে আলাস্কায় যাবেন রুশ প্রেসিডেন্ট?

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর থেকে ভ্রমণে বেশ সতর্ক অবস্থানে পুতিন। যে কারণে ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি শীর্ষ সম্মেলনের আমন্ত্রণও প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তিনি। কিন্তু গ্রেপ্তারি পরোয়ানা উপেক্ষা করে এক বছর পরই ২০২৪ সালে চীন এবং উত্তর কোরিয়া সফর করেন পুতিন। এবার আলাস্কা গিয়ে কিভাবে হাতকরা এড়াবেন পুতিন।

আরও পড়ুন:

এসব প্রশ্নের উত্তর তুলে ধরেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। যেখানে বলা হয়, ২০০২ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে প্রতিষ্ঠিত এ সংক্রান্ত রোম বিধিমালায় স্বাক্ষর নেই চীন, উত্তর কোরিয়া, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের। যে কারণে আলাস্কা সফরে ঝুঁকি নেই পুতিনের।

একই কারণে গাজায় গণহত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকার পরও; নির্ভয়ে যুক্তরাষ্ট্র সফর করতে দেখা গেছে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুকেও। এমনকি নেতানিয়াহুর ওপর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির করায় ক্ষিপ্ত হয়ে, আইসিসি'র বিরুদ্ধে গত ফেব্রুয়ারিতে নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছিলেন ট্রাম্প।

এর আগে ২০২৪ সালে মঙ্গোলিয়ায় গিয়ে বিশ্ববাসীকে চমকে দিয়েছিলেন পুতিন। কারণ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের বিধিমালায় স্বাক্ষর থাকায় পুতিনকে গ্রেপ্তার হওয়ার কথা ছিল মঙ্গোলিয়ায়।

কিন্তু তার বদলে পেয়েছিলেন উষ্ণ অভ্যর্থনা। এ ক্ষেত্রে দেখা যায়- আইসিসির সদস্যরা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা কোনও ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনতে চুক্তিবদ্ধ থাকলে; কোনও দেশকে এই শর্ত মেনে চলতে বাধ্য করার সামর্থ্য নেই সংস্থাটির।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি অভিযান শুরুর পর ইউক্রেনের শিশুদের অপহরণে নির্দেশদাতা হিসেবে অভিযোগ এনে রুশ প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। একই অভিযোগে অভিযুক্ত ক্রেমলিনের শিশু অধিকার বিষয়ক কমিশনার মারিয়া এলভোভাও।

সেজু