স্পেনে দাঙ্গা পুলিশ ও অভিবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষ, বার্সেলোনার উত্তরে অবস্থিত একটি পরিত্যক্ত স্কুল ভবন থেকে চারশো অভিবাসীকে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়ার পর ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা।
তবে এটি কোনো অভিবাসনবিরোধী উচ্ছেদ অভিযান নয়। মূলত কাতালোনিয়া অঞ্চলের ভবনটিকে অনিরাপদ বলে অভিবাসীদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। তা কার্যকর করতেই মাঠে নামে পুলিশ। তবে অন্য জায়গায় মাথা গোঁজার ঠাঁই না করে, হঠাৎ সরে যাওয়ার জন্য চাপ দিতেই বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন অভিবাসীরা।
এখন কোথায় গিয়ে আশ্রয় নেবেন তা নিয়ে দিশেহারা বহু দিন ধরে পরিত্যক্ত স্কুল ভবনে থাকা এসব অভিবাসী প্রত্যাশীরা।
অভিবাসী প্রত্যাশীদের একজন বলেন, ‘আমরা এখন কোথায় যাবো জানি না। এখন রাস্তায় ঘুমানো ছাড়া উপায় নেই। শীতের মধ্যে এভাবে খুবই কঠিন।’
আরও পড়ুন:
পুলিশ আসার খবরে পরিত্যক্ত স্কুল ভবনটি সরে যায় অনেকে। তবে সহিংসতা দেখা দেয়ায় ১৮ জনকে আটক করে পুলিশ। এ অবস্থায় অভিবাসীদের নিয়ে স্থানীয় সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকে।
অন্য আরেকজন অভিবাসী প্রত্যাশী বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি ৪০০ জনেরও বেশি লোককে এভাবে উচ্ছেদ না করে একটি সমাধান খুঁজে পাওয়া যেতো। তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা যেতো। কিন্তু তারা তা চায় না।’
এমন ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আইনজীবীরাও। করেছেন সমালোচনাও।
মার্টা লঞ্চের আইনজীবী বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের কোনো বিকল্প ব্যবস্থা না করে সরকারের এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো ঠিক হয়নি। বাসস্থান বা আবাসনের বিকল্প পরিকল্পনা করা দরকার ছিলো। এটা কোনো সমাধান হতে পারে না।’
২০২৩ সালে পরিত্যক্ত স্কুল ভবনটি অভিবাসাসীদের আশ্রয়স্থল হয়ে ওঠে। এদের বেশিরভাগই ছিলেন সেনেগাল এবং গাম্বিয়া থেকে আসা অভিবাসী। স্কুল ভবনটি থেকে অভিবাসীদের উচ্ছেদ করতে আদালতের অনুমতি চেয়েছিলো স্থানীয় প্রশাসন।
দক্ষিণ ইউরোপীয় দেশগুলোর মতো, স্পেনেও এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিবাসীদের ভিড় বাড়ছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট নৌকায় করে পাড়ি দিচ্ছে ভূমধ্যসাগর বা আটলান্টিক। তবে অনেক উন্নত দেশ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিলেও, বৈধ অভিবাসনকে দেশের অর্থনীতি বিকাশে সহায়ক হিসেবে দেখছে স্পেনের বামপন্থী সরকার।





