২৪ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধ থামাতে না পারলেও ক্ষমতা গ্রহণের প্রায় সাত মাস পর ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত বন্ধে কিছুটা অগ্রগতি দেখিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার নেতৃত্বেই আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে মুখোমুখি হতে পারেন পুতিন-জেলেনস্কি।
তবে সংশয় আছে দুই নেতার আলোচনার পর আদৌ শান্তি ফিরবে কী না ইউক্রেনে। ফক্স নিউজকে দেয় সাক্ষাৎকারে এমন আভাষ দিয়েছেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জানান, শান্তি আলোচনা ফলপ্রসূ হতে হলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে আরও নমনীয় হতে হবে। আর সহযোগিতা না করলে কঠোর পরিণতি ভোগের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে।
তবে রাশিয়ার সঙ্গে সংঘাত বন্ধের পর ইউক্রনের নিরাপত্তার প্রশ্নে দেশটিতে সেনা পাঠানোর সম্ভাবনা নাকোচ করে দিয়েছেন ট্রাম্প। যদিও মস্কোকে সতর্ক করে বলছেন, একবার যুদ্ধ বন্ধ হলে ইউক্রেনের মিত্ররা যেকোনো সময় দেশটিতে সেনা পাঠাতে দ্বিধা করবে না।
তবে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রশ্নে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেছেন দেশটির ইউরোপীয় মিত্ররা। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে যেখানে অংশ নেন অন্তত ৩০ দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও প্রতিনিধি। বৈঠক শেষে স্টারমার জানান, এ নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে দ্রুত আলোচনায় বসা হবে।
যদিও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মনে করেন, অঞ্চল ভাগাভাগির বিষয়টি নিষ্পত্তি না হলে পুতিন-জেলেনস্কি বৈঠক থেকে সমাধান আসবে না।
এদিকে ইউক্রেনে সংঘাত বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্টের তৎপরতাকে দেশটির প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ও ইউরোপের নেতারা স্বাগত জানালেও আশ্বস্ত হতে পারছেন না কোনো কোনো বিশ্লেষক। তাদের দাবি, পুতিন কূটনৈতিক চাপ দিলে যেকোনো সময় নিজের অবস্তান বদলে ফেলতে পারেন ট্রাম্প।
এমন প্রেক্ষাপটে পুতিন-জেলেনস্কি বৈঠক আয়োজনে আগ্রহ প্রকাশ করছে সুইজারল্যান্ড। যদিও এ বৈঠক আয়োজনে আইনি প্রশ্নের মুখোমুখি হতে পারে সুইস সরকার। এর আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। আইসিসির গঠনের সময় রোম চুক্তিতে অনুমোদন দেয়ায়, পুতিন সুইস ভূখণ্ডে পা রাখলে তাকে গ্রেপ্তার করতে বাধ্য থাকবে সুইজারল্যান্ড।
তবে দেশটির গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, জাতিসংঘের ইউরোপীয় সদরদপ্তর জেনেভায় এবং এ বৈঠক আয়োজন করতে পারা একটি কৃতিত্বের বিষয়- তাই এ নিয়ে আইনি জটিলতাও মিটিয়ে ফেলা সম্ভব।