এই কেন্দ্রটি পরিচালনা করছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জিও গ্রুপ। যারা সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের (আইসিই) সঙ্গে ১৫ বছরের চুক্তি করেছে। বারাকের অভিযোগ—এ সেন্টারটি বৈধ অনুমোদন ছাড়াই চালু করা হয়েছে এবং এটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের আশঙ্কা তৈরি করছে।
ঘটনার সময় মেয়র বারাক নিউ জার্সির তিন কংগ্রেস সদস্য—রবার্ট মেনেনডেজ, লা মনিকা ম্যাকআইভার, ও বনি ওয়াটসন কোলম্যানকে সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রে ঢুকতে যান। তবে নিরাপত্তা বাহিনী বারাককে বাধা দেয়, কারণ তিনি কংগ্রেস সদস্য নন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুরুতে মেয়র বারাক গেটের বাইরে চলে গেলেও কিছুক্ষণ পর আইসিই এজেন্টরা তাকে প্রকাশ্যে গ্রেপ্তার করে এবং একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।
মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ (ডিএইচএস) এক বিবৃতিতে দাবি করে, বিক্ষোভকারীরা জোর করে আটকাগারে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন। তাদের ভাষায়, “একটি বাস ডিটেইনি নিয়ে প্রবেশ করার সময় কিছু বিক্ষোভকারী, যার মধ্যে দুই কংগ্রেস সদস্যও ছিলেন, গেট ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করেন।”
তবে কংগ্রেস সদস্য বনি ওয়াটসন কোলম্যান বলেন, ‘ডিএইচএসের বিবৃতি ভুল এবং অতিরঞ্জিত। আমরা ওভারসাইট ক্ষমতা প্রয়োগ করেছি, আগেই এ ধরনের কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। কেউ গেট ভাঙেনি।’
নিউ জার্সির অ্যাটর্নি জেনারেল ম্যাথিউ প্লাটকিন জানিয়েছেন, মেয়র বারাককে গ্রেপ্তার অযৌক্তিক এবং এতে কোনো রাজ্য বা স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জড়িত ছিল না। তিনি বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে এমন গ্রেপ্তার প্রশ্ন তুলছে।’
ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা রাস বারাক নিউ জার্সির গভর্নর পদে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি জিও গ্রুপের বিরুদ্ধে এর আগেই মামলা করেছেন এবং এই আটক কেন্দ্রটির নির্মাণ ও কার্যক্রমকে অবৈধ দাবি করেছেন।
এই কেন্দ্রটি ১ হাজার শয্যাবিশিষ্ট এবং জিও গ্রুপ জানিয়েছে, এটি বছরে প্রায় ৬ কোটি ডলার আয় করবে। মার্কিন প্রশাসনের দাবি, কেন্দ্রটির যাবতীয় অনুমোদন ও পরিদর্শন সম্পন্ন হয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের সময় যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী আটক বাড়ানোর নীতির অংশ হিসেবে এ ধরনের সেন্টার চালু হচ্ছে। নতুন চুক্তির ফলে জিও গ্রুপের অধীন অভিবাসী আটক সংখ্যা ২০ হাজার থেকে বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ২৩ হাজার।