বন্ডাই সৈকত হামলার আগে ফিলিপিন্সে সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়েছিল হামলাকারী বাবা-ছেলে!

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী, হামলাকারী
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী, হামলাকারী | ছবি: সংগৃহীত
0

অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই সৈকতে হামলার আগে প্রায় এক মাস ফিলিপিন্সে ছিলেন হামলাকারী বাবা ও ছেলে। সিবিএস নিউজের দাবি, এসময় সেখানে সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তারা। ম্যানিলার অভিবাসন কর্তৃপক্ষের বরাতে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভারতীয় নাগরিকের পরিচয়ে ফিলিপিন্সে প্রবেশ করেন বাবা-ছেলে। এদিকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ মন্তব্য করেছেন, হামলাকারীরা ইসলামিক স্টেটের মতাদর্শে প্রভাবিত হয়েছিলেন।

অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই সৈকতে হামলাকারী বাবা-ছেলেকে নিয়ে বেরিয়ে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। ম্যানিলার অভিবাসন কর্তৃপক্ষের বরাতে আজ (মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর) বিবিসি প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ১ নভেম্বর থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত ফিলিপিন্সে ছিলেন বাবা-ছেলে সাজিদ ও নাভিদ। একই তথ্য দিয়েছে পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডনও। কিন্তু ডনের প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে, ফিলিপিন্সে প্রবেশের সময় নিজেদের ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিয়েছিল বাবা ও ছেলে। যদিও এ বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ।

হামলাকারী বাবা ছেলের ফিলিপিন্সে যাওয়া নিয়ে প্রতিবেদন করেছে এবিসি নিউজও। তাদের দাবি, এ পুরো সময়ে সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন সাজিদ ও নাভিদ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ফিলিপিন্সে শক্ত নেটওয়ার্ক আছে সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেটের। যদিও বাবা ছেলে কেন ফিলিপিন্সে যান কিংবা সেসময় তারা কোনো প্রশিক্ষণ নিয়েছেন কী না- এ নিয়ে তদন্ত শেষ করার আগে কোনো মন্তব্য করতে চাননি তদন্তকারী কর্মকর্তারা।

তবে হামলাকারী বাবা ছেলের সঙ্গে ইসলামিক স্টেটের সম্পৃক্ততার যথেষ্ট আলামত পাওয়া গেছে বলে দাবি করছে অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ। যে গাড়িতে চড়ে সৈকতে পৌঁছান সেখানে পাওয়া গেছে ঘরে বানানো আইএসের পতাকা, মিলেছে শক্তিশালী পাইপ বোমাও।

আরও পড়ুন:

নিউ সাউথ ওয়লসের পুলিশ কমিশনার ম্যাল ল্যানিয়ন বলেন, ‘গত মাসে দুই অপরাধী ফিলিপাইনে গিয়েছিল এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। আমরা নিশ্চিত করেছি তারা সত্যিই ফিলিপাইনে গিয়েছিল। কিন্তু তারা কেন ফিলিপাইনে গিয়েছিল, সেই সফরের উদ্দেশে কী ছিল এবং সেখানে তারা কোথায় গিয়েছিল এসব বিষয় বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।’

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজও মন্তব্য করেছেন, হামলাকারীরা ইসলামিক স্টেটের মতাদর্শে প্রভাবিত হয়েছিলেন। জাতিগত সংঘাতের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

অ্যান্থনি আলবানিজ বলেন, ‘এ ঘটনার পেছনে আইএসআইএস নামের একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের মদদ থাকার প্রমাণ রয়েছে। যেসব প্রমাণ পাওয়া গেছে, এর মধ্যে জব্দ করা গাড়িতে ইসলামিক স্টেটের পতাকা পাওয়া গেছে- যা নিঃসন্দেহে একটি বড় সমস্যা।’

এর আগে, হামলাকারী সাদিজ ও নাভিদের সঙ্গে পাকিস্তানের যোগসূত্র ছিল বলে জানায় অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যম। এবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলাকারী সাজিদ মূলত পাকিস্তানের নাগরিক, ১৯৯৮ সালে আসেন অস্ট্রেলিয়ায়। আর ছেলের জন্ম অস্ট্রেলিয়ায়।

এসএস