মধ্যরাতে স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল ঢাকার রাজপথ। বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র পদে শপথ পড়ানোর দাবিতে গতকাল (বুধবার, ২১ মে) দুপুর থেকেই প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনের সড়কে তার সমর্থকদের এই অবস্থান।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, আদালতের রায়ের পর নির্বাচন কমিশন থেকে গেজেট প্রকাশিত হলেও ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে না।
ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা ইশরাক হোসেনকে মেয়র পদে শপথ গ্রহণ বাধা দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ তাদের।
আন্দোলনকারীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘তারা নিজেদের মতো করে ক্ষমতাকে নিজেদের করে রাখতে চায়। যদি মেয়র ইশরাক সিটি করপোরেশনে বসে যায় তাহলে তারা যে টেন্ডারবাজি, ঠিকাদারি করছে, সেটা পারবে না। যে কারণে ইশরাককে বসতে দিতে চায় না
হুঁশিয়ারি দেন যতক্ষণ পর্যন্ত ইশরাক হোসেনকে দক্ষিণের মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত চলবে এই আন্দোলন।
আন্দোলনকারীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমাদের ইশরাক ভাই যে পর্যন্ত মেয়র না হবে সে পর্যন্ত আমাদের এই কর্মসূচি পালিত হবে।’
পরে বুধবার সন্ধ্যায় আন্দোলনকারীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন ইশরাক হোসেন। জানান, এটি শুধু এক ব্যক্তির আন্দোলন না, আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের টেস্ট কেস এই আন্দোলন।
ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, ‘আজকের এই আন্দোলন কোনো এক ব্যক্তি ক্ষমতা বা কোনো এক পদের জন্য লড়াই নয়। আজকের এই লড়াইটি নির্ধারণ করে দিবে এই বছর ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা আরও একটি জাতীয় নির্বাচন যেখানে জনগণের সুষ্ঠু সঠিক ভোটদানের মাধ্যমে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।’
ইশরাক হোসেন আরও জানান, বিএনপি যাতে ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য কয়েকজন উপদেষ্টা ষড়যন্ত্র করছেন। সেইসাথে তথ্য উপদেষ্টা ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা পদত্যাগ দাবি করেন তিনি।
ইশরাক হোসেন বলেন, ‘যারা সম্মিলিতভাবে বিএনপি যেন আগামী নির্বাচনে না আসতে পারে, ভালো না করতে পারে, রাষ্ট্রক্ষমতায় না আসতে পারে। আমাদের নেতা দেশে এসে এসে যে ৩১ দফা দিয়েছে সেটাকে বাস্তবায়ন না করতে পারে সেটার মধ্যে যুক্ত রয়েছে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা ও তথ্য উপদেষ্টা। তাদের পদত্যাগ করতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ঘেরাওয়ের আগে গত এক সপ্তাহ এই দাবিতে বিক্ষোভ অবস্থান ও ব্লকেড কর্মসূচি পালন করেছেন ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা।