ফিরতি যাত্রায় যানবাহনের চাপ, বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ

বাস কাউন্টারে যাত্রীদের ভিড়
বাস কাউন্টারে যাত্রীদের ভিড় | ছবি: এখন টিভি
0

টানা ১০ দিনের ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরছেন মানুষ। সকাল থেকে বাস টার্মিনাল ও লঞ্চঘাটে যাত্রীদের ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মতো। বাস সংকট থাকায় বেশকিছু কাউন্টারে বাড়তি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ করেন যাত্রীরা। এছাড়া মহাসড়কে যানবাহনের চাপ থাকায় কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয় যানজট।

স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে এবার কর্মস্থলে ফেরার পালা। তাই মহাসড়কে বেড়েছে যানবাহনের বাড়তি চাপ। তীব্র যানজটে যাত্রীদের ভোগান্তি পৌঁছেছে চরমে।

ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়‌কে সৃষ্টি হয় ১৪ কি‌লো‌মিটার যানজট। এতে সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েন নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা। যাত্রীরা জানান, এক ঘণ্টার যাত্রাপথে সময় লাগছে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা।

গেলো কয়েকদিনের চেয়ে বগুড়ার টার্মিনালে যাত্রীর চাপ বাড়ায় ঠিক সময়ে ছাড়ছে না বাস। এ ছাড়া টিকিট না পেয়ে মাইক্রোবাস, পিক-আপে চড়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন কেউ কেউ। কিছু কিছু কাউন্টারে বাড়তি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ যাত্রীদের।

আজ (শনিবার, ১৪ জুন) ভোর থেকেই সিরাজগঞ্জের যমুনা সেতুর টোল প্লাজায় ছিল গণপরিবহনের অতিরিক্ত চাপ। এতে কড্ডার মোড় পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে যানজট। গণপরিবহনের চাপ সামাল দিতে মহাসড়কে মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

এ ছাড়া সকাল থেকেই ভোলার ইলিশা লঞ্চ ঘাটে দেখা যায় যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়েও লঞ্চে উঠতে পারেনি অনেকে। যাত্রীদের অভিযোগ, ঘাটে নৌযান কম থাকায় বাড়ছে দুর্ভোগ।

যাত্রীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘ঘাটে লঞ্চ পর্যাপ্ত থাকা দরকার, যা আমরা পাচ্ছি না।’ আরেকজন বলেন, ‘স্পিড বোটেও তারা অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে।’

এদিকে সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহনের চাপ ছিল চোখে পড়া মতো। কুমিল্লায় বাসের সংকট থাকায় বিভিন্ন উপায়ে ফিরতে হচ্ছে অনেককে।

এসএইচ