নির্বাচনে কাকে ভোট দেবেন, সিদ্ধান্ত নেননি ৪৮ শতাংশের বেশি মানুষ: জরিপ

বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, আওয়ামী লীগের লোগো
বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, আওয়ামী লীগের লোগো | ছবি: সংগৃহীত
1

আগামী সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে কাকে নির্বাচন করবেন, সে বিষয়ে এখনও ৪৮ শতাংশের বেশি মানুষ স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। এছাড়া ১৪.৪ শতাংশ মানুষ ভোটার প্রার্থীর নাম জানাতে রাজি হননি। ব্র্যাক ইন্সটিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) কর্তৃক করা জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

আজ (সোমবার, ১১ আগস্ট) ঢাকায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কাজের মূল্যায়ন, সংস্কার, নির্বাচন ও রাজনৈতিক দলের জনপ্রিয়তা’ বিষয়ক জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, যারা ভোট দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাদের মধ্যে ১২ শতাংশ বিএনপিকে, ১০.৪ শতাংশ জামায়াতে ইসলামীকে, ৭.৩ শতাংশ আওয়ামী লীগকে এবং ২.৮ শতাংশ এনসিপিকে ভোট দিতে চায়।

গত অক্টোবর মাসের একই প্রশ্নের তুলনায় বিএনপি ও জামায়াতের ভোট কিছুটা কমলেও এনসিপির ভোট সামান্য বেড়েছে। সেই সময় বিএনপির সমর্থন ছিল ১৬.৩ শতাংশ, জামায়াতের ১১.৩ শতাংশ এবং এনসিপির ২ শতাংশ।

বয়সভেদে জনসমর্থনে পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে। ২৭ বছরের নিচের বয়সীদের মধ্যে ৯ শতাংশ বিএনপি, ১২ শতাংশ জামায়াত, ৭ শতাংশ আওয়ামী লীগ এবং ৪ শতাংশ এনসিপিকে ভোট দিতে চায়। ২৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে বিএনপি ও জামায়াত সমান জনপ্রিয় (প্রত্যেকেরই ১১ শতাংশ)। ৫০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে বিএনপির জনপ্রিয়তা বেশি (১৬ শতাংশ), জামায়াত (৯ শতাংশ), আওয়ামী লীগ (৭ শতাংশ) এবং এনসিপি (৪ শতাংশ)।

শিক্ষাগত ভিত্তিতেও পার্থক্য দেখা গেছে। গ্রাজুয়েটদের মধ্যে বিএনপি ও জামায়াত উভয়েরই সমর্থন ১০ শতাংশ, আওয়ামী লীগের ৫ শতাংশ এবং এনসিপির ৪ শতাংশ। আনুষ্ঠানিক শিক্ষা নেই এমন মানুষের মধ্যে বিএনপির সমর্থন ১৪ শতাংশ, জামায়াত ৯ শতাংশ, আওয়ামী লীগ ৭ শতাংশ এবং এনসিপি ২ শতাংশ।

জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৭০ শতাংশ মনে করেন আগামী সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, যেখানে ১৫ শতাংশ মনে করেন তা সুষ্ঠু হবে না।—বিবিসি

এনএইচ