আজ (শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর) ঢাকায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় আন্দোলনরত জুলাই যোদ্ধাদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন আলী রীয়াজ। এ সময় কমিশনের সদস্যদের মধ্যে বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং ঐকমত্য গঠনপ্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ সংশোধিত ভাষ্যটি পাঠ করেন। এতে বলা হয়েছে, ‘গণ-অভ্যুত্থানপূর্ব বাংলাদেশে ১৬ বছরের আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানকালে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় সদস্যদের দ্বারা সংঘটিত সব হত্যাকাণ্ডের বিচার, শহিদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ও শহিদ পরিবারকে এবং জুলাই আহতদের রাষ্ট্রীয় বীর, আহত জুলাই বীর যোদ্ধাদের যথোপযুক্ত সহায়তা প্রদান যেমন মাসিক ভাতা, সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ব্যবস্থা এবং শহিদ পরিবার ও আহত বীর যোদ্ধাদের আইনগত দায়মুক্তি, মৌলিক অধিকার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করব।’
কমিশনের সহসভাপতি জানান, এই অঙ্গীকারনামা বাস্তবায়নের ব্যাপারে কমিশন সরকারকে সুস্পষ্ট এবং সুনির্দিষ্টভাবে উপস্থাপন করবে এবং এ বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও কমিশনের কোনো মতপার্থক্য নেই।
আরও পড়ুন:
এর আগে, গতকাল (বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর) রাতে বিক্ষোভের পর আজ সকালে ‘জুলাই শহিদ পরিবার ও আহত যোদ্ধা’ ব্যানারে শতাধিক মানুষ সংসদ ভবন এলাকার ১২ নম্বর গেটের সামনে জড়ো হন। একপর্যায়ে তারা গেট টপকে ভেতরের দিকে ঢুকে যান। তারা সরাসরি অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুত মঞ্চের সামনে চলে এসে অতিথিদের জন্য রাখা চেয়ারে বসে স্লোগান দিতে থাকেন।
আন্দোলনকারীদের প্রধান দাবি হলো—জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তাদের অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, আইনি সুরক্ষা এবং পুনর্বাসন দ্রুত বাস্তবায়ন করা। তাদের স্লোগানে দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের বিষয়টি উঠে আসে।
আন্দোলনকারীরা মঞ্চের সামনে অবস্থান নিলে পুলিশ দ্রুত তাদের সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে। এসময় পুলিশ লাঠিপেটা করে আন্দোলনকারীদের মঞ্চের এলাকা থেকে সরিয়ে দেয়।
পুলিশ সরিয়ে দেয়ার পর আন্দোলনকারীরা সংসদ ভবনের বাইরে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন এবং এ সময় কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করেন। একপর্যায়ে লাঠিসোঁটা হাতে একদল তরুণকে বিক্ষোভ করতে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে দেখা যায়। কিছু ব্যক্তি পুনরায় মঞ্চের দিকে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ দ্বিতীয় দফায় তাদের সরিয়ে দেয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উত্তেজনা সত্ত্বেও নির্ধারিত সময়েই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শুরু করার প্রস্তুতি চলছে।





