আজ (শনিবার, ২০ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। সড়কটির দুই প্রান্তে নিরাপত্তা চৌকি বসিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
এরইমধ্যে বিভিন্ন জায়গা থেকে জানাজায় অংশ নিতে ওই এলাকায় আসতে শুরু করেছেন অনেকে।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার দুপুর দুইটার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শরিফ ওসমান হাদির জানাজা সম্পন্ন হবে।
পরে তার মরদেহ নেওয়া হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা এবং তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের কাছেই তাকে সমাহিত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় জানাজায় অংশ নিতে আগ্রহীদের কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী বস্তু বহন না করার অনুরোধ করা হয়।
আরও পড়ুন:
এছাড়া জানাজার সময় সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ড্রোন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষেধ বলেও উল্লেখ করা হয়।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান–পরবর্তী সময়ের সবচেয়ে আলোচিত তরুণ কণ্ঠ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে থেমে যায় তার স্পন্দন, থেমে যায় এক সাহসী জীবনের সংগ্রাম।
শুক্রবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৩ মিনিটে হাদির মরদেহ বহনকারী বিমানের ফ্লাইটটি উড্ডয়ন করে। নির্ধারিত সময়ের আগে বিকেল ৫টা ৪৬ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করে।
গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরে প্রকাশ্য দিবালোকে দুর্বৃত্তের গুলিতে গুরুতর আহত হন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ওসমান হাদি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে আইসিইউতে রাখা হয় তাকে। চিকিৎসকদের ভাষায়, তার অবস্থা ছিল ‘অত্যন্ত সংকটজনক’।
উন্নত চিকিৎসার আশায় সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে নেয়া হয় সিঙ্গাপুরে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতাল; দীর্ঘ এক যাত্রা, যার শেষটা আর দেশে ফেরা হলো না। তিন দিনের জীবন-মৃত্যুর লড়াই শেষে হার মানেন এই তরুণ নেতা।





