তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে ফেনীর অতীত ইতিহাস সবারই জানা। যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, ইনশাআল্লাহ এখানে বিএনপি জয়ী হবে। আমাদের নেত্রীও (খালেদা জিয়া) নির্বাচনে অংশ নেবেন। তিনি এখন সুস্থ আছেন। নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো চিন্তা নেই।’
আবদুল আউয়াল মিন্টু আরও বলেন, ‘লন্ডনে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করে একটি যৌথ বিবৃতি দেয়া হয়েছিল যে; অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে। আমরা সেটির প্রতি আস্থা রাখতে চাই। তবে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় জানুয়ারির মধ্যেও নির্বাচন হয়ে যেতে পারে, কারণ সুপ্রিম কোর্টে কেয়ারটেকার সরকারবিষয়ক একটি মামলা চলমান রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি কেয়ারটেকার সরকার পুনঃপ্রবর্তন হয়, তাহলে এই অন্তর্বর্তী সরকারই কেয়ারটেকার সরকারের দায়িত্ব পালন করবে। কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।’
সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ না থাকলে ভালো কাজ করে না—এ মন্তব্য করে মিন্টু বলেন, ‘গত ১৯ বছর ধরে আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম, নির্যাতন-অত্যাচার সহ্য করে আসছি। কেউ যদি বলে আমরা হঠাৎ নির্বাচন চাইছি, তা সঠিক নয়। বরং, ২০০৬ সাল থেকে আমরা নির্বাচন চেয়ে আসছি।’
তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু ছিল না। ২০০৬ সাল থেকে দেশে কোনো নির্বাচনকালীন সরকার নেই। দুই যুগ ধরে যদি একটি নির্বাচিত সরকার না থাকে, তাহলে জনগণের জীবনমান বা অর্থনীতির উন্নয়ন সম্ভব নয়। একটি নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারকে অবশ্যই জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক হতে হয়।’