ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক শরীফ মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।
তিনি বলেন, ‘জ্ঞানের সর্বোৎকৃষ্ট উৎস হলো পবিত্র কুরআন। বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে হলে জ্ঞানের কোনো বিকল্প নেই। ছাত্রশিবির নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি এমন সৃজনশীল আয়োজনের মাধ্যমে ছাত্ররাজনীতিতে ইতিবাচক ধারা সৃষ্টি করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশকে নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। বিশেষ করে আধিপত্যবাদী শক্তি ভারত তাদের গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে উঠে পড়ে লেগেছে। তাদের লক্ষ্য মুসলিম বিশ্ব থেকে বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্ন করা। কিন্তু তা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এর মধ্যে বাংলাদেশের অনেক তরুণ যুবক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইসলামের সুমহান বাণী ছড়িয়ে দিয়েছে, যার মাধ্যমে সারা বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের গভীর সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে ভারত টার্গেট কিলিং শুরু করেছে। তাদের সব ষড়যন্ত্র জীবন দিয়ে হলেও দেশের ছাত্র ও যুবসমাজ রুখে দেবে। এর মধ্যে টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হয়েছেন শরীফ ওসমান হাদি। অবিলম্বে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্রশিবির সারা বছর একটি নির্দিষ্ট সিলেবাসের আলোকে তার জনশক্তিকে জ্ঞানচর্চায় সম্পৃক্ত রাখে। পাঠমূল্যায়ন পরীক্ষার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানই একমাত্র আয়োজন নয়, বরং ছাত্রবান্ধব আরও নানা কর্মসূচি নিয়মিত পালন করে থাকে। কুইজ প্রতিযোগিতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতাসহ নানাবিধ আয়োজন করা হয়। ছাত্রশিবির তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে ২০ বছরব্যাপী ‘রিডিং মুভমেন্ট’ কর্মসূচি শুরু করেছে, যার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে পড়াশোনার মানসিকতা তৈরি করা হবে।’
আরও পড়ুন:
শহিদ শরিফ ওসমান হাদি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ওসমান হাদি ছিলেন সংগ্রামী এক অকুতোভয় সৈনিক। তিনি জীবন দিয়ে প্রমাণ করে গেছেন, তরুণ প্রজন্ম কোনো আধিপত্য মেনে নেবে না। ওসমান হাদির জানাজায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না আসা হতাশাজনক। অবিলম্বে এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ন্যানোম্যাটেরিয়ালস ও সিরামিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ফখরুল ইসলাম এবং ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ ও প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সেক্রেটারিয়েট সদস্যরা ও বিভাগীয় দায়িত্বশীলরা।
অনুষ্ঠানে পাঠমূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কারপ্রাপ্ত ১০ জন কেন্দ্রীয় বিভাগীয় সদস্য, ১০ জন সদস্য এবং ১০ জন সাথীকে পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্তদের মাঝে নগদ অর্থ, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট দেয়া হয়।





