সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বেশিরভাগ বাসিন্দাদের খাবার পানির জন্য পাড়ি দিতে হয় অন্তত এক কিলোমিটার পথ। সিটি করপোরেশন থেকে পানি সরবরাহ না করায় দরিদ্র এই পরিবারগুলোর বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট সবসময়।
শুধু এই এলাকা নয়, নগরীর অর্ধেকের বেশি পরিবার এখন ভুগছে একই সমস্যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ২৭টি থেকে বেড়ে এখন ৪২টি ওয়ার্ড হওয়ায় এই সংকট।
স্থানীয়দের মধ্যে একজন বলেন, ‘পানির জন্য আমরা অনেক কষ্ট করছি, অনেক দূরে পানি আনতে গিয়েও ঠিকমতো পানি পাই না। যদি সিটি করপোরেশন সহযোগিতা করে, তাহলে আমাদের উপকার হয়।’
পানি সংকটে নগরবাসীর এমন চরম দুর্দশায় সিটি কর্পোরেশনের অপরিকল্পিত নগর ব্যবস্থাকেই দায়ী করছেন অনেকে।
সিলেট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম শাহীন বলেন, ‘এই মুহূর্তে যেহেতু ডিপ টিউবওয়েলের বিকল্প দেখা যাচ্ছে না, তাই এ ১৫টি ওয়ার্ডে একাধিক ডিপ টিউবওয়েল করে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়। যখন ওয়াসা আসবে এবং সার্ফেস ওয়াটার ম্যানেজমেন্টে চলে যাবে, তখন সেই ডিপ টিউবয়েলগুলোকে তুলে ফেলবেন। সেজন্য আমরা বলছি যে, যেসব ওয়ার্ডে পানি নেই, সেগুলোতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় ফেলে না রেখে আসুক। জরুরি ভিত্তিতে গাড়ি দিয়ে পানি সরবরাহ করা হোক।’
সিলেট সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, বাজেট এবং জনবল সংকটের পাশাপাশি ওয়াসার কার্যক্রম চালু না হওয়ায় সহসাই এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।
সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা সিটি করপোরেশন এই মুহূর্তে ৫০ শতাংশও পানি সরবরাহ দিতে পারছি না। সিলেট ওয়াসা হয়েছে, ওয়াসা বোর্ড হয়েছে। কোনো ধরনের প্রোজেক্ট নিয়ে এখন গেলেই বলছে, ওয়াসা বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু ওয়াসার যে বোর্ড গঠন হয়েছে, সে বোর্ডের অস্তিত্ব এখন আসলে নেই। এভাবে আমাদের ভোগান্তিটা রয়েই গেছে।’
নগরীতে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ১২ কোটি লিটার পানির চাহিদা থাকলেও সিটি করপোরেশন পানি সরবরাহ করছে অর্ধেকেরও কম।