নগরায়ণের দাপটে হারিয়ে যাচ্ছে খেলার মাঠ। ফেনী শহরেও নেই পর্যাপ্ত উন্মুক্ত জায়গা। নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোর আর তরুণরা মাঠে খেলাধুলার সুযোগ পাচ্ছে সীমিত। ফলে অনেকেই সময় কাটাচ্ছে মোবাইল আর ডিজিটাল পর্দায়।
তবে এই সংকটের মাঝেই বিকল্প হয়ে উঠেছে কৃত্রিম টার্ফের খেলার মাঠ। অল্প জায়গায় সিনথেটিক ঘাস বসিয়ে তৈরি হচ্ছে ছোট পরিসরের মাঠ, যেখানে ফুটবল, ক্রিকেট কিংবা ব্যাডমিন্টন খেলায় মেতে উঠছে বিভিন্ন বয়সী মানুষ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমান যুগে সবকিছু উন্নত হচ্ছে। যেখানে তুলনামূলক ভালো কিছু পাওয়া যাবে সেদিকেই মানুষ ঝুঁকবে। বড় মাঠগুলো এখন খালি না থাকায় ছোট মাঠগুলোতে অন্তত শরীরচর্চার সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন:
দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে বিনোদন আর শরীর চর্চার এই নতুন ব্যবস্থা । দর্শনার্থীদের আকর্ষণে কেউ কেউ মাঠের পাশে যুক্ত করছেন ফুড কোর্টও। মফস্বল শহরেও ছড়িয়ে পড়ছে কৃত্রিম মাঠের ব্যবসা। ফেনীতেই গত এক বছরে গড়ে উঠেছে ৭টি টার্ফ মাঠ। এ খাতে উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ ছাড়িয়েছে ১০ কোটি টাকার বেশি।
ঘণ্টা হিসেবে ভাড়া গুনে খেলায় নামছে শিশু-কিশোর থেকে বিভিন্ন বয়সী মানুষ। উদ্যোক্তারা বলছেন, এই খাতে আগ্রহ বাড়ছে দিন দিন । নিয়মিত বুকিং থাকায় ব্যবসাও হচ্ছে ভালো।
ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যদিও এটা টাকার মাধ্যমে কিন্তু এতে করে যুব সমাজের উপকার হচ্ছে।
তবে ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উন্নত মানের খেলোয়াড় তৈরির জন্য এসব কৃত্রিম মাঠ বড় প্রাকৃতিক মাঠের বিকল্প হতে পারে না।
জেলা ক্রীড়া অফিসার হীরা আক্তার বলেন, ‘শুধু শরীরচর্চাই সেখানে হচ্ছে। ভালোমানের খেলোয়াড় সেখান থেকে উঠিয়ে নিয়ে আসা এখন সম্ভব না। সেজন্য আমাদের আসলে মাঠ তৈরি করা দরকার। তবে আমাদের মধ্যে অনেকেই উদ্যোগ নিয়েছে মাঠ তৈরির ব্যাপারে। আশা করি আমরা মাঠ পাবো শীঘ্রই।’
নারায়ণের চাপে মাঠ কমলেও টার্ফ মাঠ নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে ফেনীতে। একদিকে শরীর চর্চার সুযোগ পাচ্ছে নগরের মানুষ, অন্যদিকে বাড়ছে বিনিয়োগ আর কর্মসংস্থান। তবে তবে দক্ষ খেলোয়াড় তৈরিতে প্রয়োজন প্রকৃত মাঠ আর পরিকল্পিত ক্রীড়া অবকাঠামো।





