একের পর এক লজ্জাজনক হার, সাথে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মেহেদি হাসান মিরাজের অনুপস্থিতিতে পাহাড়সম চাপ টিম বাংলাদেশের উপর। এমন অবস্থায় টস ভাগ্য এলো নাজমুল হোসেন শান্তর পক্ষেই। যদিও প্রথম সেশনে ব্যাটিংটা তথৈবচ।
তিন উইকেট হারানোর পর মুশফিকুর রহিম যখন মাঠে আসলেন তার ওপর যেন হিমালয়সম চাপ। একে তো ব্যাট হাতে সবশেষ ১৩ ইনিংসে ফিফটি নেই, আউট হবার ধরণগুলোও দৃষ্টিকটু। বয়সের ভারে খেলতে পারছেন না মুশি, এমন ফিসফাস চারদিকে।
ছোটগড়নের ব্যাটার উইকেটে এসে যেন ধ্যানে বসলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে। কোন ধরনের বিপজ্জনক শট না খেলে দৌড়ে রান নেয়ায় মন দিলেন, সফলও হলেন।
আরো পড়ুন:
দীর্ঘদিন পর সেঞ্চুরি। এমন ইনিংসের পর স্বস্তি থাকলেও সংবাদ সম্মেলনে পুরোপুরি ভাবলেশহীন মিস্টার ডিপেন্ডেবল।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ব্যাটার মুশফিকুর রহিম বলেন, ‘স্পেশাল কিছু না। এখন ক্যারিয়ারের শেষের পথে। ক্যারিয়ারের শেষে সবই স্পেশাল। আমি চেষ্টা করি নিজেকে ১০০ শতাংশ প্রস্তুত করে প্রিপারেশন নেয়ার। এছাড়া আমার সামনে যে সুযোগ আসে সেটা ধরার চেষ্টা করি। তো অনেক সময় হয় আবার অনেক সময় হয় না।’
একটা পর্যায়ে রান সংখ্যায় কাছাকাছি ছিলেন, যদিও শান্ত আগেই সেঞ্চুরি তুলে নেন। সেখানে মুশফিকের উচ্ছ্বাস সবার দৃষ্টি কেড়েছিলো। অধিনায়কের সেঞ্চুরি নিয়েও মুশির বক্তব্যটা যেন ঠিক অভিভাবকসুলভই।
তিনি বলেন, ‘শান্ত তো অনেক ধরে ভালো খেলছে। টেস্টেও ওর রেকর্ড ভালো। ক্যাপ্টেন হিসেবেও ওর রেকর্ড ভালো। ব্যাটসম্যান হিসেবেও ভালো।’
সময় বাড়ার সাথে গলের উইকেটে বাড়বে ঘূর্নিও। তাই মুশফিকের আশা প্রথম ইনিংসেই প্রতিপক্ষকে রান পাহাড়ে চাপা ফেলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেয়ার।