ভোর ৬টা বেজে ১৩ মিনিট। সবার আগে ফিটনেস পরীক্ষা দিতে জাতীয় স্টেডিয়ামে হাজির লিটল মাস্টার মুশফিকুর রহিম। এরপর একেএকে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেন মিরাজ-মুস্তাফিজ নাজমুল শান্ত। মাইক্রোতে এলেন নাহিদ রানা, নাসুম, জাকের আলি ইবাদতরা।
মূলত নেদারল্যান্ড সিরিজ ও এশিয়া কাপকে সামনে রেখে সপ্তাহ খানেক ফিটনেস ট্রেনিং করছে টিম বাংলাদেশ। স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ নাথান কেলির অধীনে সপ্তাহ খানেক চলবে এ ট্রেনিং। প্রথম দুইদিন মিরপুরে ট্রেনিং করলেও রোববার জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলন সেরেছে টাইগাররা।
প্রথম ধাপে কিছুটা স্ট্রেচিং করে গা গরম করলেও ৭টা থেকে শুরু হয় স্প্রিন্ট টেস্ট। ছোট ছোট ধাপে ৬০-৭০ মিটার দূরত্বে একে একে স্প্রিন্ট টেস্ট দেন ক্রিকেটাররা। দ্বিতীয় ধাপে হয় ১৬০০ মিটার রানিং। দুই ধাপে বিভক্ত হয়ে দৌড়ে অংশ নেন প্রাথমিক স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটাররা।
প্রথম রাউন্ডে সবাইকে ছাড়িয়ে সেরা টাইমিং করেন পেসার নাহিদ রানা। তার থেকে বেশ খানিকটা পেছনে থেকে দৌড় শেষ করেন ওয়ানডে অধিনায়ক মিরাজ। তৃতীয় সাথে থেকে দৌড় শেষ করেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রাহিম। ১৬০০ মিটার দৌড়ে সবার পেছনে থেকে দৌড় শেষ করেন মুস্তাফিজ ও হাসান মাসুদ।
দ্বিতীয় রাউন্ডে আরেক ঝাঁক ক্রিকেটার নামেন নিজেদের ঝালাই করতে। এ ধাপে সবার আগে ১৬০০ মিটার বাধা অতিক্রম করেন তানজিম সাকিব। সাকিবের পেছনে ছিল দিপু ও ইমন। এ ধাপে সবচেয়ে পেছনে থেকে দৌড় শেষ করেন তানভির ইসলাম, শামীম পাটোয়ারী ও তাসকিন আহমেদ।
টি-টোয়েন্টিতে পাওয়ার হিটিং ও ফিটনেসকে প্রাধান্য দিয়ে এই ক্যাম্পের আয়োজন করেছে বিসিবি। ১৫ আগস্ট থেকে শুরু হবে টাইগারদের স্কিল ক্যাম্প। এছাড়া ২০ আগস্ট সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে আরেক টি ক্যাম্প।
আগামী ৩০ আগস্ট নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে শুরু হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।