নিজেদের সেরা ফরম্যাটে বড্ড অচেনা বাংলাদেশ। লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা যেন ভুলতে বসেছেন ওয়ানডে ফরম্যাটে নিজেদের সেরা সময়। একের পর এক ব্যর্থতায় টেবিলের ১০ নম্বরে মিরাজ-তামিমরা।
২০০৬ সালের অক্টোবরের পর ২০২৫ সালের মে মাসে আবার দশ নম্বরে নেমে যায় বাংলাদেশ। গত মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটি ওয়ানডে জেতার পর ৯ নম্বরে উঠেছিল টাইগাররা।
র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের পাশাপাশি অবনতি ঘটেছে পাকিস্তানেরও। ৪ থেকে ৫ নম্বরে নেমে গেছে সালমান আগার দল। ৯ নম্বরে বাংলাদেশের জায়গা নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর ৪ নম্বরে পাকিস্তানের জায়গা নিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
আরও পড়ুন:
বর্তমানে বাংলাদেশের রেটিং ৭৭ আর ৯ এ ওঠা উইন্ডিজের রেটিং ৭৮। ৪ ও ৫ এ থাকা শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের রেটিং যথাক্রমে ১০৩ ও ১০২। এই মুহূর্তে ১২৪ রেটিং নিয়ে র্যাংকিংয়ের শীর্ষে আছে ভারত। দ্বিতীয় স্থানে থাকা নিউজিল্যান্ডের রেটিং ১০৯।
২০২৭ সালে হতে যাওয়া পরবর্তী ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করতে র্যাংকিং হতে পারে ‘কি-ফ্যাক্টর’।
১৪ দলের আসরে স্বাগতিক হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের অংশগ্রহণ নিশ্চিত। বাকি ১২টি জায়গায় আটটি পূর্ণ হবে র্যাংকিংয়ের ভিত্তিতে, চারটি দল যাবে বাছাইয়ের মাধ্যমে।
বাংলাদেশকে সরাসরি বিশ্বকাপে জায়গা করতে হলে ২০২৭ সালের ৩১ মার্চের র্যাংকিংয়ে সেরা আটের মধ্যে থাকতে হবে। এক্ষেত্রে হিসাব থেকে বাদ যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে।
টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়েও দশ নম্বরে বাংলাদেশ, টেস্টে আছে ৯ নম্বরে। সাদা বলের ফরম্যাটে নিজেদের সেরা অবস্থান ফিরে পেতে দেশের ক্রিকেট কর্তাদের নিতে হবে বাড়তি দায়িত্ব, সঙ্গে দরকার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার বাস্তবায়ন।