নাঈম শেখ, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, হাসান মাহমুদ, সাইফ হাসান- প্রত্যেকেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের পরিচিত মুখ। এদের অনেকেই এখনও জাতীয় দলের অংশ। আবার কেউ কেউ জাতীয় দল থেকে এখন কিছুটা দূরে। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড যেন সহসাই ছাড়তে চাইছে না অভিজ্ঞ নামগুলোকে। টপ অ্যান্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজে ‘এ’ দলের মোড়কে মাঠে নামছেন অভিজ্ঞ তারকারা। তরুণ আর উদীয়মানদের মঞ্চ 'এ' দলটা এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে অনেকটাই পুনর্বাসন কেন্দ্রের মতো।
নাঈম শেখের আন্তর্জাতিক অভিষেক ২০১৯ সালে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পার করেছেন ৬ বছর। ছিলেন সবশেষ শ্রীলঙ্কা সফরের দলে। এর ঠিক পরের বছর বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন সাইফ হাসান, আফিফ হোসেন ধ্রুব এবং হাসান মাহমুদ। এদের মধ্যে সাইফ সবশেষ টাইগারদের হয়ে খেলেছেন ২০২৩ সালে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় দলের অংশ ছিলেন আফিফ। আর হাসান মাহমুদ এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের একেবারে নিয়মিত মুখ।
টপ অ্যান্ড সিরিজে দলের অধিনায়ক হিসেবে আছেন নুরুল হাসান সোহান। ২০১৬ সালে অভিষেক হয়েছে তার। আছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতাও। একই অভিজ্ঞতা আছে এই স্কোয়াডের আরেক সদস্য চৌধুরী ইয়াসির আলী রাব্বির। তবে পারফরম্যান্স যখন সন্তোষজনক না, তখন তাদের সবারই ঠাঁই হয়েছে 'এ' দলে। যেন পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে আবার নিজেদের প্রমাণ করার পালা।
বৈশ্বিক ক্রিকেটে 'এ' দল মূলত উদীয়মান ক্রিকেটারদের মঞ্চ। যারা পরবর্তীতে হয়ে ওঠেন আগামীর তারকা। চলমান সিরিজে জিশান আলম, মাহফুজুর রহমান রাব্বি, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন বা রাকিবুল হাসানদের নিয়ে সেই স্বপ্ন দেখা যেতেই পারে। তবে, ক্রিকেটীয় অনেক কাঠামোর মতো 'এ' দলের কাঠামোতে পরিবর্তন আনাও হয়ত বড় প্রয়োজন।