অঝোর বৃষ্টিতে মুখর ঢাকার আকাশ। কিংস এরেনার ঝলমলে আলোতেও দীর্ঘ সময় আলোর মুখ দেখেনি খেলা। কর্দমাক্ত মাঠে বল গড়ানোর বদলে বারবার আটকে যাচ্ছিল। এমন মাঠেই একাদশে আট পরিবর্তন নিয়ে পরীক্ষামূলক স্কোয়াড সাজিয়েছিলেন বাংলাদেশের কোচ পিটার বাটলার। তবে খেলায় মনোযোগ হারিয়ে তা হয়ে ওঠে এক বিশৃঙ্খল লড়াইয়ে।
সপ্তম মিনিটেই শান্তি মার্দির গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। তবে এরপর ম্যাচ যেন রূপ নেয় কাদার লড়াইয়ে। বল দৌড়াচ্ছে না, খেলোয়াড়রা দৌড়ানোর পরিবর্তে বারবার পিছলে পড়ে যাচ্ছেন, মাঠে যেন ফুটবলের কৌশল দেখানোর চেয়ে দাঁড়িয়ে থাকার লড়াই বেশি।
প্রথমার্ধ শেষে মাঠ পরিদর্শনে নামেন ম্যাচ কর্মকর্তারা। একাধিকবার পরিদর্শনের পর আসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত- মাঠ অনুপযুক্ত। ম্যাচ সরানো হয় পাশের প্র্যাক্টিস গ্রাউন্ডে। তাতে শুরুতেই সমতায় ফিরলেও, শান্তি মার্দির হ্যাটট্রিকে শেষপর্যন্ত বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
কিন্তু প্রশ্ন ওঠে বাফুফের ব্যবস্থাপনা নিয়ে। ৯০ মিনিটের ম্যাচ শেষ করতে সময় লাগে পাঁচ ঘন্টা। এক ম্যাচ আয়োজন করতে হয় দুই মাঠে। তার ওপর অনুশীলন মাঠে খেলা হওয়ায় ছিল না পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দর্শক আর ক্যাম্পের খেলোয়াড় একসঙ্গে— নিরাপত্তার প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক। এমন পরিস্থিতির দায় কোথায়, কার কাঁধে?
আফঈদা-মার্দিরা শান্তি খুঁজছেন পূর্ণ তিন পয়েন্টে। মাঠে নিজেদের দায়িত্বের শতভাগ পালন করেছেন তারা। কিন্তু আয়োজকরা পালন করেছেন কতটুকু?