উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তথ্যমতে, এখন প্রতিদিন গড়ে বহির্বিভাগে ৩০০ থেকে ৪০০ রোগী নানা রোগে চিকিৎসা নিচ্ছে। এছাড়াও গেল ১৫ দিনে ১০০ জনের মত ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা নিয়ে ফিরেছেন। বর্তমানে ভর্তি রয়েছে ৬০ থেকে ৭০ জনের মত রোগী। শয্যার তুলনায় রোগী বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালের বারান্দার ফ্লোরে বিছানা পেতে অনেককে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত নার্স মাহফুজা খাতুন জানান, স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ জন ডায়রিয়া রোগী হাসপাতালে ভর্তি থাকে। কিন্তু গত কয়েক দিনে হঠাৎ করেই ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। প্রতিদিন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে নতুন করে ৮-১০ জন করে রোগী ভর্তি নিতে হচ্ছে।
ডায়রিয়া আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও বয়স্করা রয়েছেন। হঠাৎ করে আবহাওয়া পরিবর্তন ও বৈশাখের তীব্র গরমের কারণে শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। গত ১৫ দিনে প্রায় ৭০-৮০ জন ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেছেন বলে জানান তিনি।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেঝেতে ভর্তি হয়ে থাকা রোগীর স্বজনদের একজন বলেন, ‘গত ২ দিন আগে হঠাৎ করে আমার ছেলের বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। বেড না থাকায় মেঝেতে বেড তৈরি করে চিকিৎসা নিচ্ছি। এখন বর্তমানে অনেকটা সুস্থ।’
নাসির হোসেন নামের একজন রোগী বলেন, ‘বৈশাখ মাসের তীব্র গরমে ইরি ধান কাটা মারায় এর কাজ করছি। হঠাৎ গতকাল থেকে আমার পেটের ব্যথা ও পাতলা পায়খানা। এরপর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে স্যালাইন ও চিকিৎসা নেওয়ার পরে বর্তমানে একটু সুস্থ।’
হাকিমপুর হিলি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইলতুতমিশ আকন্দ বলেন, ‘বৈশাখ মাসের তীব্র গরমে হাসপাতালে বেশ কিছু দিন থেকে ডায়রিয়া রোগী ভর্তির সংখ্যা বেড়েছে। হঠাৎ আবহাওয়া পরিবর্তন ও তীব্র গরমের কারণে মা, শিশু ও বয়স্করা ডায়রিয়া রোগে ভুগছে বলে মনে করছি। তবে আমাদের হাসপাতালে কলেরা স্যালাইন পর্যাপ্ত থাকায় এখন পর্যন্ত কোন সমস্যা হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘তীব্র গরমে বেশি বেশি পানি ও খাবার স্যালাইন খেতে হবে। সেই সাথে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে এসে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে।’