মধুফল আমের পরিপক্কতায় জাল ও লাঠি ঝুড়ি নিয়ে বাগানে আমের গাছিরা। ঝোপায় আম নামিয়ে থরে থরে সাজাচ্ছেন খড়ের ওপর। আমের কষ শুকিয়ে রাখা হচ্ছে ক্যারেটে।
বাগানে আঁটি ও গুটির গাছে আমে কোথাও হলুদাভ কোথাও আবার সবুজে ধূসর। আজ গুটি জাত নামানো হলেও ব্যবসায়ীদের অধীর অপেক্ষা, গোপাল, রাণীপছন্দ, লক্ষণভোগ ও ক্ষীরশাপাতি নিয়ে। এ বছর আমের রঙরূপ ঘ্রাণ স্বাদ মিলিয়ে খুশি কৃষক। তারা বলছেন, এবারে আমের ফলন ভালো হয়েছে। পরিষ্কার আমে নেই কোন রোগবালাই।
রাজশাহীর বানেশ্বরের আম বাগানি জিল্লুর রহমান বলেন, ‘গাছে মোটামুটি ভালো আম আছে। আমের ফলন এবার মোটামুটি ভালো। এবার কোনো রোগবালাই আসেনি তো, সেজন্য আমটা সুন্দর আছে।’
বাগান থেকে নামানো আম বাজারজাত করা হলেও এখন পর্যন্ত বাইরের পাইকাররা নেই হাটে। এছাড়া ক্রেতা শূন্য বাজারে দাম নিয়ে তৈরি হয়েছে হতাশা।
আমচাষিদের মধ্যে একজন বলেন, ‘প্রথম আম নামানো শুরু হয়েছে। এখন বেচাকেনা কম, পার্টিও কম আসছে এখন। ব্যাপারী যদি না নামে তাহলে কৃষকের যে খরচ সেটা উঠবে না।’
স্থানীয় প্রশাসন বলছে, চলতি বছর জেলায় এই খাতে বাণিজ্য হবে অন্তত এক হাজার ৭০০ কোটি টাকার। ভোক্তা পর্যায়ে পরিপক্ব ও বিষমুক্ত আম পৌঁছে দেয়ার জন্য সবধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
পুঠিয়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.কে.এম নূর হোসেন নির্ঝর বলেন, ‘আমাদের আমটি যেন নিরাপদ থাকে, ভালো থাকে এবং গাছে যে অবস্থায় আম আজকে পাড়ছি তা যেন সঠিক আম আমরা মানুষের সামনে উপস্থাপন করতে পারি। সেজন্য ম্যাংগো ক্যালেন্ডার করা। অপরিপক্ব আম বাইরে এনে পাকিয়ে যেন জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দেয়া না হয়।’
চলতি মৌসুমে জেলার ১৯ হাজার ৬০৩ হেক্টর জমিতে আমের উৎপাদন লক্ষ্য দুই লাখ ৬০ হাজার টন।