উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত আখাউড়ার কয়েক গ্রাম

পাহাড়ি ঢল-টানা বৃষ্টিতে প্লাবিত আখাউড়ার কয়েক গ্রাম
পাহাড়ি ঢল-টানা বৃষ্টিতে প্লাবিত আখাউড়ার কয়েক গ্রাম | ছবি: এখন টিভি
0

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর টানা বৃষ্টিপাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আজ (রোববার, ১ জুন) সকাল থেকে ভারত সীমান্তবর্তী কালিকাপুর, আবদুল্লাহপুর ও ইটনাসহ কয়েকটি গ্রামে পানি ঢুকতে শুরু করে। বৃষ্টিপাতের কারণে পানিও বাড়ছে গ্রামগুলোতে। বর্তমানে অন্তত ১৫টি পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় আছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আখাউড়া স্থলবন্দরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কলন্দি খাল, কালিকাপুর হয়ে আব্দুল্লাহপুর দিয়ে যাওয়া জাজি খাল, বাউতলা দিয়ে মরা গাঙ ও মোগড়া ইউনিয়ন দিয়ে বয়ে যওয়া হাওড়া নদীতে অস্বাভাবিকভাবে পানি বাড়ছে। এর ফলে আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিকাপুর, বীরচন্দ্রপুর, আব্দুল্লাহপুর, বঙ্গেরচর এবং ইটনা গ্রামের জমি ও রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া, কেন্দুয়াই মেলার মাঠ এলাকায় ১৫টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

আখাউড়া স্থলবন্দরের মাছ রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া জানান, গতকাল শনিবার (৩১ মে) রাত থেকে বন্দর সংলগ্ন গ্রামগুলোতে পানি ঢুকছে। এখন পর্যন্ত রপ্তানিতে কোনো প্রভাব না পড়লেও পানি যেভাবে বাড়ছে, তাতে বন্দরের সড়কটি তলিয়ে গিয়ে রপ্তানি বন্ধ হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর রহমান জানান, হাওড়া নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩০ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। তবে এখনো বিপদসীমা অতিক্রম করেনি।

আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি.এম রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা প্লাবিত গ্রামগুলো পরিদর্শন করছি। লোকালয়ে পানি ঢুকলেও পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা কম। তবে আমরা ত্রাণ সহায়তা প্রস্তুত করছি।’

এসএইচ