ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেরা হল, মো. আলী আহমদের ছেলে মো. ইলিয়াস (৪১), মো. ইলিয়াছের ছেলে আক্কল আলী (২০) ও মো. নুর হোসেন (১৮), কালু মিয়ার ছেলে সাবের হোসেন (২২), মো. নুর হোসেনের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম (২৫)। তাদের সবার বাড়ি টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের জালিয়া পাড়ায়।
ভুক্তভোগী জেলেদের স্বজন ও স্থানীয় অন্য জেলের বরাতে ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, ‘সকালে নাফ নদীর মোহনা সংলগ্ন এলাকার বঙ্গোপসাগরে ইঞ্জিনচালিত একটি নৌকা যোগে বাংলাদেশি ৫ জন জেলে মাছ ধরছিলেন। এক পর্যায়ে তারা জলসীমার মিয়ানমারের নাইক্ষ্যংদিয়া অংশে ঢুকে পড়েন। এসময় আরাকান আর্মির সদস্যরা একটি স্পিড বোটে এসে অস্ত্রের মুখে ওই জেলেদের জিম্মি করে নিয়ে যায়।
পরে ঘটনাস্থলের আশপাশে থাকা অন্য জেলেরা শাহপরীর দ্বীপে ফিরে এসে ঘটনাটি অবহিত করেন বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান।
শাহপরীর দ্বীপ জেলে সমিতির সভাপতি আবদুল গনি জানান, শাহপরীর দ্বীপ জালিয়া পাড়ার বাসিন্দা এবং ধরে নিয়ে জেলেদের নৌকার মালিক মোহাম্মদ ইলিয়াছকের পরিবারের তিন সদস্যসহ স্থানীয় ৫ জন জেলে সাগরে মাছ ধরতে যায়। সাগর থেকে ফিরে আসার সময় তাদের ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি। জেলের স্বজনরা বিষয়টি বিজিবিকে অবহিত করেছে।
এ নিয়ে বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের সংশ্লিষ্টদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনার ব্যাপারে টেকনাফের ইউএনও শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘জেলে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি টেকনাফ কোস্টগার্ড ও স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে শুনেছি। তা সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হয়েছে।’ ঘটনায় ভুক্তভোগী জেলেদের ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।