কিশোরগঞ্জে ইউএনওর বাসভবনের সামনে হামলা-ভাঙচুর, গ্রেপ্তার ১

ইউএনওর বাসভবন
ইউএনওর বাসভবন | ছবি: এখন টিভি
0

কিশোরগঞ্জের ইটনায় মিনি স্টেডিয়ামে খেলাকে কেন্দ্র করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনের সামনে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দায়িত্বরত পুলিশ, আনসার সদস্য এবং প্রশাসনিক কর্মচারীদেরকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ইউএনওর বাসভবনে কর্মরত এক আনসার সদস্য বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ এরই মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, কিছুদিন আগে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই সদর ইউনিয়নের কয়েকজন যুবক মিলে একটি অস্থায়ী আইনশৃঙ্খলা কমিটি গঠন করে টুর্নামেন্ট চালু করে। অভিযোগ আসে যে খেলার পাশাপাশি জুয়া চলছে। তদন্তের স্বার্থে ইউএনও টুর্নামেন্ট বন্ধের নির্দেশ দেন।

বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে খেলা চলাকালে ইটনা থানার ওসি মাঠে এসে ইউএনওর নির্দেশে খেলা বন্ধ করতে বলেন। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে প্রায় ৩-৪ শতাধিক লোক মিছিল নিয়ে ইউএনও অফিসে যায়। ইউএনওকে না পেয়ে তারা বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে হামলা করে।

উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ফজলুর রহমান পটল বলেন, ‘হঠাৎ ৩০০-৪০০ জন লোক এসে বাসভবনের সামনে হট্টগোল শুরু করে। আমরা চেষ্টা করি তাদের শান্ত করতে, তবুও তারা দায়িত্বরত আনসার-পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে ও মারধর করে। পরে বাসভবনে হামলা করে। তখন ইউএনও বাসায় ছিলেন না, কিন্তু তার পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।’

ইটনা থানার ওসি মো. জাফর ইকবাল জানান, ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি হলেন সদর ইউনিয়নের বড়হাটির হাজী খুরশিদ মিয়ার ছেলে হাফেজ আব্দুর নূর। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে।

ইউএনও মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম বলেন, ‘স্থানীয়দের অনুরোধ ছিল মাঠে যেন জুয়া বা বড় টুর্নামেন্ট না হয়, কারণ বড় টুর্নামেন্ট হলে এলাকার ছেলেরা খেলার সুযোগ পায় না এবং মাঠও নষ্ট হয়। আমি বলেছিলাম বড় খেলার আগে আমাকে জানাতে। কিন্তু তারা আমার নির্দেশ অমান্য করে খেলা চালিয়ে যায়।’

তিনি বলেন, ‘পুলিশ বাধা দিলে তারা আমার বাসভবনের সামনে এসে হট্টগোল ও হামলা চালায়, এমনকি দায়িত্বরতদের গায়ে হাত তোলে। তখন আমি বাসায় ছিলাম না, পরিবার বিপদে পড়ে। এটি অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

সেজু