র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন জানান, সাম্প্রতিক সময়ে ভোলাগঞ্জ এলাকা থেকে প্রায় ২ লাখ ঘনফুট সাদা পাথর লুট হয়েছে, যার বাজারমূল্য আনুমানিক ২০০ থেকে ২৫০ কোটি টাকা। পাশাপাশি প্রায় ৬ লাখ ঘনফুট বালু লুট হয়েছে, যার মূল্য প্রায় ২৪০ কোটি টাকা। অবৈধ উত্তোলনের পর এসব পাথর স্থানীয় দয়ার বাজার, কলাবাড়ি ও ভোলাগঞ্জ ১০ নম্বর ঘাটে জমা করে বিভিন্ন ক্রাশার মেশিনে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন:
তিনি বলেন, ‘আমরা সংবাদ পাই সেই পাথর এখানেও আছে। তারই ভিত্তিতে ডেমরা সুকুরশী এলাকায় প্রায় ৪০ হাজার ঘনফুট আস্ত ও ক্রাশড সাদা পাথর উদ্ধার করা হয়। এসময় ঢাকা জেলা প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।’
এদিকে আজ সকালে র্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মোর্শেদ জানান, পাথরগুলো যারা কিনে এনেছে তাদের কাউকেই পাওয়া যায়নি। পাথরগুলো ভোলাগঞ্জে ফেরত পাঠানোর কাজ চলছে। সেখানে পরিবেশ অধিদপ্তর কাজ করছে।
এর আগে, গেলো ১৩ আগস্ট সিলেটের ভোলাগঞ্জে শত কোটি টাকার পাথর লুটের ঘটনাটি দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করলে এ দিন দিবাগত মধ্যরাতে সিলেটের সাদাপাথর পর্যটন এলাকার লুণ্ঠিত পাথর উদ্ধারে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে যৌথবাহিনী।
অভিযানের শুরুতেই ভোলাগঞ্জের কালাইরাগ এলাকা থেকে ১২ হাজার ঘনফুট সাদা পাথর জব্দ করা হয়। এরপর সে রাতেই করা হয় উদ্ধারকৃত পাথরগুলো প্রতিস্থাপনের কাজ।