কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়গুলো এখন অপরাধীদের ঘাঁটি। জাদিমুরা পাহাড়ে একদল সশস্ত্র ডাকাতের অবস্থানের খবর পেয়ে শুক্রবার (৪ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টায় অভিযান চালায় কোস্টগার্ড ও পুলিশ।
অভিযান শেষে ওই আস্তানা থেকে উদ্ধার করা হয় একটি জি-৩ রাইফেল, দু’টি বিদেশি পিস্তল, তিনটি দেশি আগ্নেয়াস্ত্র, তিন হাজার ১১৪ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ১৪ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, এক কেজি আইস এবং ৪ লিটার দেশিয় মদ। এসব অস্ত্র মিয়ানমার থেকে আসা চোরাচালানের অংশ হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে কোস্টগার্ড।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সালাহউদ্দিন রশীদ তানভীর বলেন, ‘বিজিবি ব্যাটালিয়নের বিভিন্ন অস্ত্র তারা আটক করেছিল, এসময় বিভিন্ন অস্ত্র লুটপাটের ঘটনাও ঘটে। আমাদের অনুমান অনুযায়ী সেখান থেকে বেশ কিছু অস্ত্র-গোলাবারুদ বিভিন্ন অসাধু ব্যবসায়ী এবং চোরাকারবারিরা চালান করেছে।’
তিনি বলেন, ‘এ বিষয়গুলোর সঙ্গে কারা সম্পৃক্ত সে বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলমান আছে। এ তদন্ত শেষ হলেই আমরা প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করতে পারবো।’
টেকনাফে অপহরণ এখন সবচেয়ে বড় আতঙ্ক। বাহারছড়া, জাহাজপুরা, লেদা, মুছনি, হ্নীলা, রইক্ষ্যং, জাদিমুড়া, হোয়াইক্যং অঞ্চল এখন অপহরণের হট-স্পট।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য বলছে, গত এক বছরে অন্তত আড়াইশ’ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগকেই মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে আনা হয়েছে। কৃষক, শ্রমিক, ব্যবসায়ী, চালক, এমনকি রোহিঙ্গারাও রেহাই পাচ্ছেন না অপরাধীদের হাত থেকে।
অভিযানে উদ্ধার হওয়া সোহেলও জানিয়েছেন তার ওপর হওয়া ভয়াবহ নির্যাতনের কথা। পরিচিত একজনের মাধ্যমেই তিনি অপহরণকারী চক্রের কবলে পড়েন বলেও জানান তিনি।
অভিযানে কেউ আটক না হলেও মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারে কিছুটা স্বস্তিতে স্থানীয়রা। তবে এত অভিযানেও পাহাড়ি অপরাধ চক্র কেন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে, সে প্রশ্ন থেকেই যায়।