স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত সৈকত বন্যাকে দীর্ঘদিন ধরে উত্যক্ত করে আসছিল। এ নিয়ে এলাকায় সালিশ বৈঠকও হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, সেই রাগ ও প্রতিশোধপরায়ণ মনোভাব থেকেই সে ভয়াবহ এই হামলা চালায়।
বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে হঠাৎ বাড়িতে ঢুকে বন্যার ওপর ছুরি চালায় সৈকত। তাকে বাঁচাতে গেলে তার দাদি ও ভাবিকেও ছুরিকাঘাত করে সে। পরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুইজনের। বন্যাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতদের স্বজনরা জানান, অভিযুক্ত সৈকত এর আগেও বন্যাকে উত্যক্ত করত। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা হলেও কোনো লাভ হয়নি। তারা এ ঘটনায় দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, হামলার পরপরই অভিযুক্ত সৈকত পালিয়ে গেছে। তাকে ধরতে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে। বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সুফিয়ান বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, প্রেমে প্রত্যাখ্যানের ক্ষোভ থেকেই এককভাবে এ হামলা চালিয়েছে অভিযুক্ত। সে কলেজ শিক্ষার্থী এবং বয়সে বন্যার সমবয়সী।’