পুলিশ ও প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, দুপুর ৩টায় বাড়ির পাঁচ তালায় ঝামেলা হচ্ছে— গৃহকর্মীর দেয়া এমন খবরে সেখানে যান তারা। সেখানে গিয়ে বিচারকের ছেলে সুমন ও তার মা তাসমিন নাহার ও ঘাতক লিমন মিয়াকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন তারা। এরপর সুমনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনা হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
আহত তাসমিন নাহার ও লিমন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন।
পুলিশ বলছে, ঘাতক লিমন নামের ছেলেটি আগে থেকেই বিচারকের কাছে নানাভাবে টাকা নিতো। দিন দিন তার চাহিদা বাড়তে থাকে। সম্প্রতি একটা মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন তিনি। সেই টাকা দিতে অস্বিকৃতি জানান বিচারক ও তার পরিবার।
আরও পড়ুন:
এ ঘটনায় সিলেট থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করেন বিচারক, যা গতকাল রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানাকে অবহিত করা হয়।
বিচারকের বাড়িতে তার ছেলের সঙ্গে রক্তাক্ত অবস্থায় থাকা আহত লিমনের বাসা গাইবান্ধায়, তার পেশা জানা না গেলেও তার পকেট থেকে একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া গেছে।
পুলিশ জানায়, ঘাতককে আটক করা হয়েছে, তার চিকিৎসা চলছে। ঘটনা পর্যবেক্ষণ শেষে এ বিষয়ে জানাতে পারবেন তারা। এ ঘটনার পর জজ কোর্টের অন্যান্য বিচারক, পিপি, পুলিশ কর্মকর্তাসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন।





